আরজি কর হাসপাতালে সেদিন চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঠিক কী কী হয়েছিল? রইল গোটা টাইমলাইন

আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। কেন দেরী এফআইআর দায়ের করতে - প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। দেরির কারণ নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। রইল তার ব্যাখ্যা।

৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয়েছিল নিহত চিকিৎসকের দেহ। সাকলেই উদ্ধার হয় দেহ। এফআইর দায়ের হয় প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরে। কারণ খুঁজছে শীর্ষ আদালত।

৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। সকাল ৯টা নাগাদ উদ্ধার হয় দেহ।

প্রথম টালি থানায় জানান হয়। জেনারেল ডায়েরি করা হয় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ পৌঁছায়।

বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হোমিসাইড শাখা। দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিটে চিকিৎসককে মৃত বলে ঘোষণা করে আরজি করের এমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার।

আরজি করে চিকিৎসক হত্যার প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়ে।ে। সেই মামলা দায়ের করা হয় দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হল।

সূত্রের খবর বেলা ১১টা পর্যন্ত মৃতদেহ দেখা সত্ত্বেও কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেনি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সময়টা দফায় দফায় বৈঠক হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর পুলিশের মধ্যে।

ওইদিন দুপুর ৩টে ৫০ মিনিট নির্দেশ জারি করেন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। বিকেল ৪টে ১০-এ ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। বিকেল ৪টে ২০ মিনিট থেকে ৪টে ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলছিল সুরতহাল।

বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের দেহ। সেখানেও ভিডিওগ্রাফি হয়। এর পর সন্ধে ৬টা ১০ মিনিটে ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত চলে। রাত সাড়ে ৮টার সময় পরিবারের হাতে চিকিৎসকের দেহ তুলে দেওয়া হয়।

রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চলে। সবশেষে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে দায়ের করা হয় FIR।

বৈঠকে পুলিশ, অধ্যক্ষ, সুপারের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবনের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত দু’জন ছিলেন। তাঁরা পুলিশ যাওয়ার আগে সেমিনার রুমে দাঁড়িয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করেন। বৈঠকে পুলিশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা। প্রশ্ন কি কারণে এফআইআর করার থেকেও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছিল বৈঠক। তার উত্তর নেই।

তদন্ত ও ময়নাতদন্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছিল। দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে তার পরও ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার কাজ করছিলেন তদন্তকারী অফিসার। সব কাজ শেষ করেই রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।