অভিষেকের পরিবারের ও তাঁর নিজের নামে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় খতিয়ান চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখানেই শেষ নয়, চাওয়া হয়েছে শেয়ার কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্যও।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল ইডি-এর দফতরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার তৃণমূলের সেনাপতির কাছে আরও নথি চাইল তদন্তকারী সংস্থা। অভিষেকের পরিবারের ও তাঁর নিজের নামে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় খতিয়ান চাইল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখানেই শেষ নয়, চাওয়া হয়েছে শেয়ার কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্যও। উল্লেখ্য ইডির জিজ্ঞাসাবাদে অভিষেক স্বীকার করেছেন এখনও লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস নামক কোম্পানির সিইও তিনি। অভিষেকের গতকালের বয়ান অনুযায়ী যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখছে ইডি।
প্রসঙ্গত, বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, 'আমাকে ৯ থেকে সাড়ে ৯ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস হল মাইনাস ২। ইডির অফিসের কর্মীদের আমি কোনও দোষ দিই না। তারা রাজনৈতিক প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে চাইছে।' অভিষেক বলেন ধুপগুড়ি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই তৃণমূলকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন এই কাজ করলে তৃণমূলের প্রতি মানুষের জনসমর্থন বাড়বে।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বুধবার ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক ছিল। আগে থেকেই দিনক্ষণ স্থির হয়েছিল। কিন্তু ইডি তাঁর বৈঠকে যাওয়া আটকাতেই ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছিল। তিনি বলেন, কেউ চাইছে না তিনি বৈঠকে যোগ দিন, সেই জন্যই একটি নির্দেষ্ট দিনেই ডাকা হয়েছে। যদি তা না হয়ে তাহলে ১২ বা ১৪ সেপ্টেম্বরও তাঁকে তলব করা যেত। তবে তিনি এদিন ইডি-র অফিসারদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। সাধ্যমত সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তদন্তের বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে করবেন না বলেও জানিয়েছেন। লিপস অ্যান্ড বাউন্সে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও টাকা ঢোকেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।