এবার ইডির দফতরে হাজির হলেন অভিনেত্রী। রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। এর আগে সেই তলবে সাড়া না দিলেও বুধবার তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে এসে হাজির হন।
লোকসভা ভোট সম্পন্ন হওয়ার ঠিক পরের দিন তথা গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ED। সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হতে বলা হয় তাঁকে। তবে সেবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাকে সাড়া দেননি টলি নায়িকা। পরে জানা যায়, ইমেল মারফৎ তিনি ED আধিকারিককে জানিয়েছেন, বিদেশে থাকার কারণে হাজিরা দিতে পারছেন না। এরপর ১৯ জুন ফের তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
এবার ইডির দফতরে হাজির হলেন অভিনেত্রী। রেশন দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। এর আগে সেই তলবে সাড়া না দিলেও বুধবার তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে এসে হাজির হন। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি আধিকারিক। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি ইডি।
বুধবার ঋতুপর্ণার হিসাবরক্ষক জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সমস্ত হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন।
সূত্র মারফত আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করে ইডি। এর আগে, ঋতুপর্ণা হাজিরা দিতে আসতে পারেন বলেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে নিরাপত্তার বেষ্টনী আঁটোসাঁটো করা হয়। ED দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয় রাজ্য পুলিশের মহিলা র্যাফ এবং রাজ্য পুলিশের টিম। সেই সঙ্গেই ভেতরে CRPF রয়েছে বলে খবর মেলে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।