আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার ও শাসক দল। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জনতার বিক্ষোভে ক্ষমতা হারিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও কি একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস? বাংলাদেশে আন্দোলনে প্রথমসারিতে ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। ১৪ অগাস্ট মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচি সফল হওয়ার পর শনিবার ও রবিবার দ্বিতীয় দফায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এরই মধ্যে রবিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একসঙ্গে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পুলিশ লাঠিচার্জ, গ্রেফতার করেও এই বিক্ষোভ দমন করতে পারেনি। গড়ের মাঠের তিন বড় ক্লাবের বিক্ষোভ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এর আগে বিরোধী দলগুলি রাজ্য সরকার ও শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলেও, সমাজের সব অংশের মানুষ এভাবে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেননি। এবার সেটাই দেখা যাচ্ছে। ফলে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ছে।
জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শাসক দল?
বামফ্রন্ট আমলের শেষদিকে সরকার ও সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে মানুষের চরম ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। সরকার ও শাসক দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেস ও সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় শাসক দলের নেতারা। অনেকেই ওপার বাংলার প্রভাব দেখছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ প্রশাসন?
শাসক দলের অনেক নেতাই মনে করছেন, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা ঠিকমতো সামাল দিতে পারেনি সরকার। পুলিশ-প্রশাসনের আচরণে মনে হচ্ছে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এর ফলেই জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'নির্বিচারে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করুন,' ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের আহ্বান তৃণমূল সাংসদের
আরজি কর ঘটনার জের, প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর? গোপন খবর ফাঁস