নিয়োগ দুর্নীতি মামলা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আলিপুর সংশোধনাগারে রয়েছেন পার্থ। এবার জামিন চাইছেন তিনি। ইডির মামলা থেকেও অব্যাহতি চাইছেন তিনি। তবে মুক্তি মিলল না। ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। ফের ১৪ দিনের জন্য অর্থাৎ আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে কাটাতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আলিপুর সংশোধনাগারে রয়েছেন পার্থ। এবার জামিন চাইছেন তিনি। ইডির মামলা থেকেও অব্যাহতি চাইছেন তিনি। তবে মুক্তি মিলল না। ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ সাতজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।
সূত্রের খবর মামলার শুনানি শুরু হয়, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। জামিনের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন এতদিন ধরে জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু একবারের জন্যও সিবিআই সংশোধনাগারে গিয়ে তাঁকে জেরা করেনি। তাহলে তাকে জেলে রাখার প্রয়োজন কি বলেও প্রশ্ন তোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী।
শুনানিতে একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে বারবার উঠে আসে প্রভাবশালী তত্ত্ব। এক্ষেত্রে আইনজীবী বলেন তিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেস দল বা রাজ্য সরকারের কোনও পদেই নেই। তাহলে কীভাবে এই যুক্তি বা প্রভাবশালী তকমা তাঁকে দেওয়া যেতে পারে। তবে বলাই বাহুল্য, এই যুক্তি মানেননি বিচারকরা।
অন্যদিকে এদিন বিচারকদের প্রশ্নের মুখেপড়েন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের গ্রফতার করতে হবে, নয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। বৃহস্পতিবার আদালত সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন রাখে যে সেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন। কেন ধীর গতিতে তদন্ত এগোচ্ছে। আদালতের এদিন স্পষ্ট নির্দেশ দ্রুত এই তদন্ত শেষ করতে হবে ও আদালতের সামনে নতুন তথ্য প্রমাণ পেশ করতে হবে।
এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন , সত্যিটা সামনে আসুক। তিনি দোষী হলে দোষী, না হলে সেটাও প্রমাণ হোক। এখানেই প্রশ্ন উঠছে সত্যিটা ঠিক কী? আর কোন রাঘববোয়াল জড়িত রয়েছে এই দুর্নীতির সঙ্গে? দুর্নীতির বখরা কারা পেয়েছিলেন সেটাই তো জানতে চাইছেন বঙ্গবাসী? তবে কি সেই সত্যিটাই প্রকাশ্যে আনার কথা বলছেন পার্থ?