
বর্তমানে সর্বোচ্চ আদালতে ডিএ সংক্রান্ত যে মামলা চলছে, তা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বকেয়া ডিএ নিয়ে এই মামলা। এবার অঙ্কের হিসেবে দেখা গেলে ডিএ মামলায় যদি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা জয় পায় তাহলে পদ অনুযায়ী, লক্ষ লক্ষ টাকা আসবে সরকারি কর্মীদের পকেটে।
উচ্চ আদালতের ডিএ রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এখনও সেই মামলাই ঝুলে রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।
১১৯ দিন পর গত সোমবার ডিএ মামলা শুনানির জন্য ওঠার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে এবারও পিছিয়ে গেল শুনানি। পুজোর আগে কোনো সুখবর আসতে পারে এই আশায় বুক বেঁধেছিলেন সরকারি কর্মীরা। দ্রুত ডিএ মামলার শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল আন্দোলনকারীদের তরফে। কিন্তু সেই আশায় জল।
জানা গিয়েছে ২০২৪ দুর্গাপুজোর আগে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা উঠছে না। শুধু তাই নয়, এ বছরই আর ডিএ মামলার শুনানির জন্য উঠবে না সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালত তরফে মঙ্গলবার যে অর্ডারের কপি আপলোড করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে এরপর ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে যতবারই শুনানির দিন এসেছে ততবারই হতাশ হতে হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এবারও তা পিছু ছাড়ল না। প্রতিবারই কোনো না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। অতীতে বহুবার সময়ের অভাবে ডিএ মামলার শুনানি হয়নি বা হলেও সামান্য সময়ের জন্যই হয়েছে। এবারও তাই হল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।