এসআইআর-এর নামে বিভ্রাট, অপপ্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফের রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘’এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভন্ডামি। তিনি কলকাতায় যা বলেন এয়ারপোর্টে দাড়িয়ে পাল্টে দেয়,এই দ্বিচারিতা মানুষ দেখছে। এটা প্রথম নয় ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী যখন নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেন বাংলায় আগুন লাগিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ এও তাই করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এসআইআর করতে দেবো না। ২৭ ফেব্রুয়ারী থেকে নির্বাচনি আধিকারিকদের হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। লাগাতার এসআইআরকে এনআরসি বলেছেন। সরাসরি সিইওকে আক্রমণ করলেন। ওনার ভাইপো জ্ঞানেশ কুমারকে বাপ তুলে আক্রমণ করলো।''
25
বাংলাদেশি অবৈধ মুসলিমদের ঢোকানোর চেষ্টার অভিযোগ
এই বিষয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে দুষে শুভেন্দু আরও বলেন যে, ‘’এসআইআর মিটিংয়ে তারা অংশ নিল। বাংলাদেশি অবৈধ মুসলিমদের ঢোকানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু সেটা হবে না। ছক বানচাল। তৃণমুল কংগ্রেস শরনার্থী হিন্দুদের ভুল বোঝাচ্ছে, তারা কিন্তু এসআইআরকে গ্রহন করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিএলও গৌতম বাবু গেলেন। তাঁকে আটকানো হয়। তিনি সরাসরি বলেন ভোটারের হাতে দেবো। মেরুদণ্ড সোজা বিএলও। যিনি এসআইআর করতে দেবেন না বললেন তিনি নিজে হাতে ফর্ম নিলেন। তারপর উনি বললেন সব ভোটাররা না ফিলাপ করলেন করবো না,সব ভোটার কারা? মৃত ভোটার,রোহিঙ্গারা? আপনি এর ব্যাখ্যা দিন। আমি এটা বলেছি মুসলিম ভোট চাই না নয়,পাই না। আমরা মনে করি সমস্ত ভারতীয় মুসলিমদের নাম থাকা উচিত। ওনার অনুমতি ছাড়া জাগো বাংলা ছাপতে পারতো না।''
35
বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
বিরোধী দলনেতা জানান যে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিজেপি বিএলএ ১দিয়েছে ৩৩৮ বিএলএ ২দিয়েছে ৩৯১৪২ তৃনমূল বিএলএ ১ দিয়েছে ১৬৩ ৩৮৯৩৪ বিএলএ ২ দিয়েছে। অর্থাৎ তৃনমুল যারা এসআইআরের বিরোধিতা করছে তারাই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিচ্ছে।
‘’আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রশংসা করছি। মৃত ভোটারের ক্ষেত্রে শ্মশান ও কবরস্থানের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। শুধু পরিবার ও বিএলও র ওপর নির্ভর করেনি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে দাবি করছি, এআই ফর্মুলা ব্যবহার করে ফোটো স্ক্যান করতে হবে যেন দেখে ডোবল এন্টি না থাকে। আমি আরটিআই করেছি কলকাতা পুরসভাকে। কারণ, প্রচুর ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট রয়েছে। এই সার্টিফিকেটের যদি তথ্য না দেয়, তথ্য কমিশনারের কাছে যাবো। কোর্টে যাবে।''
55
মতুয়া অনশন নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা
শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই আক্রমণ করে ক্ষান্ত হননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মতুয়া ভোট ইস্যু এবং অনশন নিয়ে বামেদেরও একহাত নেন তিনি। বলেন, ‘’মতুয়া অনশনে সুজন চক্রবর্তী ,শুভঙ্কর সরকারদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে হিন্দু ভোট ভাগ করা।এই কাজটা করতে যায়। সুজন বাবু,শুভঙ্কর বাবুরা। কোনও মুসলিম আন্দোলনে যান না কেন? আর কংগ্রেস তো যেদিন অধীর চৌধুরীকে সরিয়েছে সেদিন সোনিয়া গান্ধীরা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চান না।''