তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ''দোল শুক্রবার পড়ায় মুখ্যমন্ত্রী তাড়াতাড়ি রঙ খেলা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা: রঙের উৎসব ঘিরে ফের শুরু শাসক-বিরোধী তরজা। দোলের উৎসব শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যা নিয়ে সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ''দোল শুক্রবার পড়ায় মুখ্যমন্ত্রী তাড়াতাড়ি রঙ খেলা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, এখন এমনিতেই মুসলিমদে রোজার মাস চলছে, তার ওপর শুক্রবার রঙ খেলা হওয়ায় মুসলিমদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র এই সিদ্ধান্ত।''
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানবে বলেও দাবি করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ''যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে এত ঘটা করে রঙের উৎসব (Dol Yatra 2025) পালন করা হয়, সেখানে রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশ নিঃসন্দেহে বাংলার হিন্দুদের ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্ন করছে।'' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বার্তা (Sukanta Majumdar), কোনও রকম ভয় না করে সাড়ম্বরে নিশ্চিন্তে দোল খেলুন হিন্দুরা।
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee News) নিজেই বলেছেন, যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া নাকি ভালো। মাননীয়ার এই কথা থেকেই প্রমাণ হয়ে যায়, মুসলিম ভোট ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব করছেন। যাতে ভোটবাক্সে তৃণমূলের মুসলিম ভোট অক্ষুন্ন থাকে (West Bengal Election 2026)। তবে সমস্যা হচ্ছে তিনি দুধ খাচ্ছেন কিন্তু লাথি খেতে হচ্ছে বাংলার হিন্দুদের। তাই আমি বলব আপনারা কোনওরকম রাখঢাক না করে আনন্দের সঙ্গে দোল খেলুন (Holi 2025)।''
অন্যদিকে, দোলের দিন যাতে রাজ্যে কোনও রকম অশান্তি না হয় সেই বার্তা দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। তবে দোল নিয়ে প্রশাসনের এই নির্দেশ অবশ্য গেরুয়া শিবির (BJP Bengal) পক্ষপাতিত্বের রাজনীতি হিসেবেই দেখছে। এখন দেখার দোলের দিন কতটা শান্তি বজায় থাকে রাজ্যে(West Bengal News)।