
কী ভাবে খুন করা হয়েছিল বছর ৫৬-র সুমিতা ঘোষকে? মঙ্গলবারই আসল ঘটনা জানতে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষকে নিয়ে মধ্যমগ্রামের বাড়িতে গেল ফরেন্সিক দল। সেখানেই চলল ঘটনার পুননির্মাণ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সোমবার রাতে মধ্যমগ্রামের ভাড়া বাড়িতেই খুন করা হয়েছিল হয়েছিল সুমিতাকে।
মঙ্গলবার সকালে কলকাতার আহিরীটোলা এলাতায় উদ্ধার করা হয়েছিল ট্রলিব্যাগে ভরা মহিলার দেহ। দুই মহিলা গঙ্গার ধারে ট্রলিব্যাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ট্রলিব্যাগ থেকে চুঁইয়ে পড়েছিল রক্ত। তাই দেখেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাতেই দুই মহিলা ধরা পড়ে যায়। ট্রলিব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে পড়ে মহিলার দেহ। তারপরই ফাল্গুনী আর তার মা আরতি ঘোষকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর গত আড়াই বছর ধরেই মধ্য়মগ্রাম পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বীরেশপল্লি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ফাল্গুনী ও তাঁর মা আরতি। কয়েক দিন আগেই স্থানীরা এক প্রৌঢ়াকে ঢুকতে দেখেন তাঁদের বাড়িতে। সেই প্রৌঢ়াই সুমিতা। তাঁকেই খুন করা হয়েছে। তবে কেন খুন করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন। কিন্তু সুমিতা ও ফাল্গুনী দুজনেই শ্বশুরবাড়িতে থাকেন না। তারপরেও কেন এই খুন তাই নিয়ে রয়েছে জট।
প্রৌঢ়ার পায়ের একাংশ কাটা ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরার মুখে মা-মেয়ে জানিয়েছেন, ট্রলি ব্যাগে ঢোকানোর জন্য মৃতের পায়ের পাতা দুটো কেটে দেন তাঁরা। তবে এই দাবির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, মধ্যমগ্রামের যে ভাড়াবাড়িতে মা-মেয়ে থাকতেন, সেখানে গত ১১ ফেব্রুয়ারি যান ওই প্রৌঢ়া। প্রৌঢ়ার বাড়ি অসমের যোরহাটে। শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানের নন্দঘাটে। তবে দীর্ঘ দিন তাঁর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এখন মধ্যমগ্রামের ভাড়া বাড়িতে ফাল্গুনীকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।