হাসপাতাল সূত্রের খবর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য নতুন বাইপ্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত তিনি যে বাইপ্যাপটি ব্যবহার করতেন সেটি প্রায় সাড়ে তিন বছর পুরনো।
আপাতত সুস্থ রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। উডল্যান্ড হাসপাতাল থেকে বুধবার, আগামিকাল ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। হাসপাতাল থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পামঅ্যাভেনিউ বাড়ি ফিরবেন। সূত্রের মঙ্গলবার চিকিৎসকদের একটি দল সরেজমিনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়ি খরিয়ে দেখেব। কোথায় রাখা হবে তাঁর বিছানা, কোথায় থাকবে চিকিৎসার সরঞ্জাম তারই একটি নির্দেশ দিয়েছে তারা। বাড়ি থেকেই যাতে সিপিআই(এম) নেতাকে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া যায় তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছএ।
হাসপাতাল সূত্রের খবর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য নতুন বাইপ্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত তিনি যে বাইপ্যাপটি ব্যবহার করতেন সেটি প্রায় সাড়ে তিন বছর পুরনো। তাই নতুন ব্যাইপ্যাপ তাঁকে ব্যবহার করতে হবে। একটি কার্ডিয়াক মনিটর হাসপাতালে রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই কার্ডিয়াক মনিটারের মাধ্যমে অক্সিজেনেপ মাত্রা, রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন দেখা যাবে। বুদ্ধবাবুর শরীরের ওপর নজর রাখতে যাবতীয় ব্যবস্থা তার বাড়িতে করার পরিকল্পনা রয়েছে চিকিৎসকদের। পাশাপাশি স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও করা হবে। এগুলি সুস্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেই বুদ্ধবাবুকে বাড়ি পাঠান হবে। আপাতত রাইসল টিউব থাকবে। এটির মাধ্যমে খাওয়ানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর বাড়ি থেকে যাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালের পরিষেবা দেওয়া যায় তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বুদ্ধদেব। এই ব্যবস্থাকে চিকিৎসার পরিভাষা হোমকেয়ার বলা হয়। নিয়মিত চিকিৎসকার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখে আসবেন।
গত ২৯ জুলাই শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রীতিমত সংকটজনক অবস্থায় গ্রিন করিডোর করে পাম অ্যাভেনিউ থেকে উডল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তাঁর রক্তে সংক্রমণের মাত্র ৯০ এর নিচে নেমে গিয়েছিল। শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা ছিল। শনিবার রাতেই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রবিবারও ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিওপিডি সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলষ সেই সময় শারীরিক অবস্থান অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতেই থাকতেন। দলের কর্মসূচিতেও সামিল হতে না তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও একমাত্র সন্তান সুচেতনা। এদিন দলের প্রথম সারিক নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব হাসপাতালে ছিলেন। সূর্যকান্ত মিশ্র মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন।