ত্রিধারা সম্মিলনী মণ্ডপের বাইরে প্রতিবাদ জানানোর অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৯ জন আন্দোলনকারী। এবার তাদের অন্তর্বর্তী জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ত্রিধারা সম্মিলনী মণ্ডপের বাইরে প্রতিবাদ জানানোর অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৯ জন আন্দোলনকারী। এবার তাদের অন্তর্বর্তী জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনেকে সংহতি জানিয়ে এবং ‘তিলোত্তমা’-র বিচারের দাবিতে ত্রিধারা সম্মিলনী পুজো প্যান্ডেলের বাইরে প্রতিবাদ জানান ৯ জন আন্দোলনকারী। এরপর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আর এরপরেই পাল্টা মামলা করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
শুক্রবার, স্পেশ্যাল বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়। এদিন রাজ্যের তরফে বলা হয়, বড় চক্রান্ত ছিল এটি। পুলিশের কাছে সেই অভিযোগ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে গ্রেফতার করেছে আন্দোলনকারীদের। একটি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ থেকে জানা গেছে সেই বড় চক্রান্তের কথা। আরও তদন্তের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাতদিনের জন্য হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
রাজ্য আরও বলে, এই অবস্থায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ নয়। এমনকি, প্রতিবাদীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিকে পাঠানোর প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানায় তারা। তাদের দাবি, প্রতিবাদ করার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু বড় জমায়েতে সমস্যা তৈরি করে কখনোই নয়।
অন্যদিকে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ওই ব্যক্তিদের হেফাজতে নিয়ে মামলা সাজাচ্ছে পুলিশ। ‘‘অপরাধ কী? ওই প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ? পুলিশ কীভাবে প্রতিবাদে হস্তক্ষেপ করতে পারে?’’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
টানা সওয়াল-জবাবের পর আদালত জানায়, পুলিশ হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই। এরপরেই ত্রিধারা কাণ্ডে ধৃত ৯ জনকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। একহাজার টাকা বন্ডে জামিন দিয়েছেন বিচারপতি সরকার। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ বহাল থাকছে। ততদিন ধৃতদের প্রতি সপ্তাহে থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। আর এই ধৃতেরা কোনও পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না।
সেইসঙ্গে, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, আর কোনও পুজো মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না। রাজ্য সরকারের কার্নিভালে ডিস্টার্ব করা চলবে না। আর হাইকোর্টের নির্দেশের খবর পেয়েই হাসি ফুটল আন্দোলনকারীদের মুখে। জুনিয়র ডাক্তার অর্ণব মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরারা অনশনমঞ্চে কেঁদেই ফেলেন। সঙ্গে হাতিতালিও শুরু হয়ে যায়। ঘোষণা করা হয়, এই আন্দোলন যেন এইভাবেই ছড়িয়ে পড়ে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।