মৃত তিন জন হল- শঙ্কর হালদার, অভিজিৎ হালদার ও বর্ণ হালদার। রবিবার সকলে হালদার বাড়ির প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ পায়। তারপর পাড়ার বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেয়।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বরাহনগর। একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হল পচা গলা অবস্থায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তিন জনই একই পরিবারের সদস্য। সম্পর্কে তারা বাবা ছেলে আর নাতি। তবে কি কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। সূত্রের খবর মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত তিন জন হল- শঙ্কর হালদার, অভিজিৎ হালদার ও বর্ণ হালদার। রবিবার সকলে হালদার বাড়ির প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ পায়। তারপর পাড়ার বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। সূত্রের খবর তিনটি দেহই ছিল রক্তাক্ত। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় ছিল। কয়েক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। কারণ প্রতিটি দেহেই পচন ধরে গিয়েছিল।
মৃতদের এক ঘনিষ্ট আত্মীয় জানিয়েছে, অভিজিতের মানিসক সমস্যা ছিল। তিনি স্ত্রী বিচ্ছিন্ন। তাঁর স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছিল। স্ত্রী অপেক্ষায় অভিজিৎ যেমন থাকতেন তেমনই তাঁর ছেলে বর্ণও অপেক্ষা করেছিল মায়ের। বর্ণও মানসিক অবসাদে ভুগত। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ৯ এপ্রিল শেষবার পরিবারের তিন সদস্যকে একসঙ্গে দেখেছেন। তবে তাদের মধ্যে কোনও সমস্যা রয়েছে বলে তাঁর মনে হয়নি। অন্যদিকে পুলিশও খতিয়ে দেখছে এটি খুন না আত্মহত্যা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, একজন বাকিদের হত্যা করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে এখনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে বাড়ির ভিরত যদি কেউ প্রবেশ করে তাহলে কি উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবেশ করেছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
BJP Vs TMC: রচনার জন্য খারাপ লাগে, কেন এমন মন্তব্য বিজেপির লকেটের