গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে চলছে চর্চা। কারণ, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে এবার তাঁকে দেখা যাবে কীনা তা নিয়ে। চলছে জল্পনা। আর এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টে রিপ্লাই দিয়ে সেই জল্পনা আরও কয়েক গুন বাড়িয়ে দিলেন তিনি।
26
কোন বিষয়ে তরজা
জানা গিয়েছে, কোচবিহারের এক বাসিন্দাকে অসম সরকারের তরফে এনআরসি নোটিস পাঠানো হয়েছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে ওঠেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
36
সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লেখেন মুখ্যমন্ত্রী?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘’এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনও ক্ষমতা বা অধিকার নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে। এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রকে দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক সুরক্ষাকে ধ্বংস করে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।''
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাল্টা জবাব দেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মমতাকে বড় বার্তা দিলীপ ঘোষের।
56
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘’এনআরসি একটি আইন। মুখ্যমন্ত্রীর যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড না করে প্রশাসনিক পথে এগোন। প্রথমত, সরাসরি অসম সরকারের সঙ্গে কথা বলুন। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ অসমে রয়েছেন। তাই, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত তাদের তথ্যগুলো অসম সরকারকে দেওয়া।''
66
দিলীপের সাফ জবাব
জানা গিয়েছে, এখানেই না থেমে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “এই রাজ্যের সরকার এই তথ্য দিচ্ছে না বলেই এই সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও সমস্যা হলে দায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকার।''