প্রতিকূল আবহাওয়ায় কীভাবে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা পৌঁছবে সেই চিন্তায় এখন কুমোরটুলির শিল্পীরা। আদৌ মহালয়ার আগে কি প্রতিমা তৈরি করতে পারবেন তাঁরা?
পুজোর মুখেই চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। কলকাতা-সহ সংলগ্ন এলাকায় হচ্ছে নাগারে বৃষ্টি। এদিকে দুর্যোগের কালো মেঘে অশনি সংকেত দেখছে কুমোরটুলি। আর মাস খানেক বাদেই পুজো। অথচ নিম্নচাপ ও মৌসুমি অক্ষরেখার যুগলবন্দিতে দেখা নেই সূর্যি মামার। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ব্যহত হচ্ছে মূর্তি গড়ার কাজ। প্রতিকূল আবহাওয়ায় কীভাবে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা পৌঁছবে সেই চিন্তায় এখন কুমোরটুলির শিল্পীরা। আদৌ মহালয়ার আগে কি প্রতিমা তৈরি করতে পারবেন তাঁরা? চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে শিল্পীদের।
নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টি হচ্ছে শহরে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এক্ষুণি বৃষ্টি থামার কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিকে টানা মেঘলা আবহাওয়ায় শুকচ্ছে না প্রতিমার মাটি। পুজোর আগে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় নাজেহাল অবস্থা কুমোরটুলির শিল্পীদের৷ মহালয়ার আগে কীভাবে প্রতিমার কাজ শেষ হবে এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যস্ত সময় কাজ এগোনোর বদলে কোনও মতে কাঠামোর উপরের মাটির প্রলেপকে বাঁচাতে হচ্ছে প্লাস্টিক চাপা দিয়ে। মৃতশিল্পীরা জানাচ্ছেন প্রতিমায় মাটি দেওয়ার পর তা শুকোতেই কমপক্ষে লাগে ১০ থেকে ১৫ দিন। তারপরে রং সাজসজ্জা সবই বাকি। এদিকে এখনও শুকোয়নি ভিজে মাটি। চড়া রোদ না পেলে মাটি শক্ত হয় না বলেই জানাচ্ছেন মৃতশিল্পীরা। এখন দেখার কতদিনে আকাশ পরিষ্কার হয়ে মেঘের ওপার থেকে দেখা দেবেন সূর্যী মামা।
নিম্নচাপ ছাড়াও ঝাড়খন্ড থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখার নিম্নচাপের সঙ্গে যুগলবন্দিতেই রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে। টানা বৃষ্টির জেরে অনেকটাই কমেছে রাজ্যের তাপমাত্রাও। তবে বজায় আছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। শুক্রবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিক্ষিপ্ত এলাকাতেও ভোর থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। এ ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়্গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিক্ষিপ্ত এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী চার-পাঁচ দিন বৃষ্টি চলবে রাজ্যজুড়ে।