
Kolkata Durga Puja 2025: দীর্ঘ সময় ধরে বাংলার দুর্গাপুজো নানা রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ঠিক তেমনই স্বদেশী যুগে মা পুজো পেয়েছেন দেশমাতৃকার অবতারে। কলকাতার এক বনেদি বাড়িতে আজও মাকে দেখা হয় সেই রকমভাবে। দেশমাতৃকা বা দেশমাতা দেশপ্রেমের প্রতীকী দেবী হয়ে আসেন ওই বনেদি বাড়িতে। উত্তর কলকাতার হাটখোলার দত্ত বাড়ি। এই পুজো শুরু হয় ১৭৯৪ সালে। এই বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন জগৎরাম দত্ত। তখন বাংলার স্বাধীন নবাবের পতন হয়েছে। তখন ব্যবসার নাম করে জাঁকিয়ে বসেছে ইংরেজরা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পাটনা শাখার দেওয়ান ছিলেন জগৎরাম। সাহেবদের হিসেবনিকেশ কষতে হলেও নিজের বাঙালিয়ানা ধরে রেখেছিলেন জগৎরাম। তাই বাড়িতেই শুরু করেন মা দুর্গার আরাধনা। দীর্ঘ ২৩০ বছর ধরে এখানে পূজিত হচ্ছেন মা। স্বদেশী যুগে মাকে দেশমাতা বা দেশমাতৃকা রূপেও পুজো করা হয়েছে।
সেই সময়কার এক কাহিনি বর্ণিত আছে। একবার ঠাকুর বিসর্জন দিয়ে ফেরার পথে পরিবারের এক পূর্বপুরুষ গেয়ে উঠেছিলেন ‘বঙ্গ আমার জননী আমার।’ আজও বিসর্জন শেষে বাড়ির ছেলেরা এই গান গান সমবেত কণ্ঠে। দত্তবাড়ির পুজোয় মা সেজে ওঠেন ডাকের সাজে। তাঁর বাহন সিংহ ঘোটকমুখী। মঠচৌরি শৈলীতে মায়ের গয়না নির্মিত হয়। এতে অঙ্কিত থাকে কৃষ্ণ ও চণ্ডীর কাহিনি। এই পুজো নিত্য আচার করতে হয় ব্রাহ্মণদেরই। ভোগে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি নেই। তার বদলে মিষ্টি ও ভাজা নানা ভোগ নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয় মাকে।
কয়েকদিন পরেই মহালয়া। তারপর চলতি মাসের শেষদিকে শুরু হয়ে যাচ্ছে দুর্গাপুজো। সারা বাংলায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার মাসের শেষে দুর্গাপুজো পড়লেও, বাংলার মানুষের উৎসাহে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। সাবেকি থেকে শুরু করে থিমের পুজো, সবেতেই সমান উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। তবে উত্তর কলকাতায় সাবেকি পুজোর চলই বেশি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।