Durga Puja 2025:হাওড়ার শ্রীমানী বাড়ি দুর্গাপূজার এক অলৌকিক ঘটনার পর থেকে এই দুর্গাপূজা টি শুরু হয়। এবং এখানে কুমারী পূজার সাথে সধবা পূজাও প্রচলিত আছে।
Durga Puja 2025: কলকাতায় বিভিন্ন দুর্গাপুজোর বিভিন্ন ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য আছে।কলকাতার বিভিন্ন বনেদি বাড়ির পুজো গুলি এক এক ইতিহাস নিয়ে যেন এখনো সকলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। যেখান থেকেই সেই বনেদি বাড়ি গুলির দুর্গা পুজোর শুভারম্ভ ঘটে। কলকাতা ঘুরলে দেখা যাবে বেশ কিছু কিছু রাজবাড়ী বা বনেদি বাড়ি গুলি রয়েছে যেখানে মায়ের পূজো হয়তো কোথাও ৭০ বছর বা কোথাও ১০০ বছর বা কোথাও ১৫০ বছর এর বেশি পূজা গুলি এখনো প্রচলিত রয়েছে।
হাওড়ার এই বনেদি বাড়ির পুজো শুরু এক অলৌকিক ভোরের ঘটনা থেকে।প্রায় ১০৬ বছর আগেকার কাহিনি।
অষ্টমীতে কুমারীর পাশাপাশি পূজিত হন একজন সধবাও। হাওড়ার প্রাচীন বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মাকড়দহের শ্রীমানী বাড়ির পুজো। শ্রীমানী বংশের অন্যতম প্রধান পূর্বপুরুষ কেদারনাথ চিনির ব্যবসায়ী ছিলেন প্রথম জীবনে। পরবর্তী কালে ঘিয়ের ব্যবসাতেও সুনাম অর্জন করেন। আড়েবহরে জৌলুস বাড়ে দুর্গাপুজোর।
হাওড়ার এই শ্রীমানী বাড়িতে কীভাবে পুজো শুরু হয় জানেন কী ?
ঘটনাটি ছিল একবার দুর্গাপুজোর মাস দুয়েক আগে ভোরবেলা বাড়ির দালান পরিষ্কার করছিলেন শ্রীমানী বাড়ির গৃহবধূ। হঠাৎ তাঁর চোখে পড়ে একটি হর গৌরীর কাঠামো। অত ভোরে দেবদেবীর কাঠামো কেই বা রেখে যাবে! তা নিয়ে সন্দিহান হলেও কোনও উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এর পর সেখানে শ্রীমানী বাড়ির বধূ ওই কাঠামো ঘরে নিয়ে এসে রাখেন। তাই দিয়ে শুরু হয় মূর্তি গড়া। সেই থেকেই শুরু দুর্গাপুজো। রীমানী বাড়ির দুর্গাপুজো অন্যদের থেকে কিছুটা আলাদা। কারণ এই বাড়িতে মা দশভুজা নন। হরগৌরীর মূর্তি পূজিত হয় সন্তানদের সঙ্গে। পাশাপাশি মায়ের মূর্তি এখানে একচালা।
শ্রীমানী বাড়ির আত্মীয়রা কেউ থাকেন লন্ডন, কেউ থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক ও লক্ষ্মীসহ মা থাকেন ডাকের সাজে। নৈবেদ্য থাকে এক মণ চালের ভোগ। সঙ্গে থাকে নারকেল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি ও ফল। অষ্টমীর দিন শ্রীমানী বাড়ির পুজোয় একজন কুমারীর পাশাপাশি একজন সধবাও পূজিত হন। আর এটাই ওখানকার রীতি ও প্রচলিত। জন্মাষ্টমীর দিন এখানে কাঠামো নির্মাণ শুরু হয়। বাঁশপুজো করে এই নির্মাণ শুরু করার রীতি। শ্রীমানী বাড়ির আত্মীয়রা কেউ থাকেন লন্ডন, কেউ থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
কিন্তু বিদেশ বিভুঁই থেকে প্রতি বছরই তারা দেশে এসে যোগ দেন পৈতৃক বাড়ির দুর্গাপুজোয়। শতাধিক আত্মীয়স্বজনের ভিড়ে ও ভক্ত-দর্শকদের উৎসাহে গমগমিয়ে ওঠে শ্রীমানীদের পুজোদালান।


