কলকাতা হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এই গ্রেফতারির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুক্তি পেলেন বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত। ৫০০ টাকা বন্ডে জামিন পেলেন কলতান দাশগুপ্ত। অন্য কোনও মামলায় আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না তাঁকে। অর্থাত্ কলতান দাশগুপ্তকে রক্ষাকবচও দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে প্রথমে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি।
এদিন কলকাতা হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এই গ্রেফতারির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষ হয়। সন্ধ্যায় রায় দেয় হাইকোর্ট। এই মামলায় চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাল্টা চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে পারবেন কলতানও। আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আপাতত এই মামলায় আদালতের অনুমতি ছাড়া কলতানের বিরুদ্ধে পুলিসের তদন্ত করারও প্রয়োজনীয়তা নেই।
এরআগে কলতানকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার চক্রান্ত সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের অডিয়ো ক্লিপ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল। তৃণমূলের দাবি ছিল ওই অডিও ক্লিপের স্বর কলতান দাশগুপ্তের।