কলতানকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। বাম যুবনেতার গ্রেফতারির বিরুদ্ধে ও তাঁর জামিনের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন কলতানের গ্রেফতারির বৈধতা নিয়ে।
বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার চক্রান্ত সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের অডিয়ো ক্লিপ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল। তৃণমূলের দাবি ছিল ওই অডিও ক্লিপের স্বর কলতান দাশগুপ্তের।
এর পরেই কলতানকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। বাম যুবনেতার গ্রেফতারির বিরুদ্ধে ও তাঁর জামিনের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন কলতানের গ্রেফতারির বৈধতা নিয়ে।
কলতানের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন জানান, কলতানকে অবৈধ ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর জামিন মঞ্জুর হোক। বিকাশের বক্তব্য, আগে গ্রেফতার করে তার পরে গ্রেফতারির সমর্থনে যুক্তি খোঁজা হয়েছে। তাঁর আরও যুক্তি, ফোনালাপের ভিত্তিতে শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই পুলিশ এ কাজ করেছে। যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ সাজা তিন বছরের জেল। তার জন্য ৪১(এ) নোটিস প্রয়োজন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সে সব করা হয়নি বলেই আদালতে দাবি বিকাশের। সে কথা শুনে বিচারপতির মন্তব্য, এ ধরনের গ্রেফতারি তো 'ঔপনিবেশিক বদভ্যাস'! হাই কোর্টে কলতান মামলার বুধবারের শুনানির পর আশার আলো দেখছেন বাম নেতৃত্বও।
তবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, ধৃত সঞ্জীবই পুলিশকে জানিয়েছিলেন কলতানের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমনকি সঞ্জীবের কলরেকর্ড থেকে কলতানের নম্বর পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি। দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কলতানের গ্রেফতারির কারণ নিয়ে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।