সায়নী ঘোষের কাছ থেকে ইডি জানতে চায় যুব তৃণমূলের সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের কী যোগ? তাঁর সম্পত্তির উৎসই বা কী? ইডি সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের বেশি কিছু পরিমাণ টাকা গিয়েছিল সায়নীর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে। সূত্র ছিল কুন্তল।
সায়নী ঘোষ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৬৮ টাকা ৩২ পয়সা। এক অর্থবর্ষে এত টাকা রোজগার করা মানেই বোঝা যায় সায়নী ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে। এরই সঙ্গে রয়েছে মোটা টাকায় কেনা ফ্ল্যাট। ৩০ জানুয়ারি, দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি শুনেছি এক অভিনেত্রী তিনটি ফ্ল্যাট ভেঙে একটা বড় ফ্ল্যাট পেয়েছেন। জানতে চাই কে তিনি? এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই। তার সিনেমাও দেখতে চাই। অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে, ED কে হলফনামা পেশ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এখানেই প্রশ্ন তুলছেন ইডির আধিকারিকরাও। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, কেবল সম্পত্তি কেনাবেচা নয়, তথ্য পাওয়া গিয়েছে একাধিক আর্থিক লেনদেনেরও। সেই তথ্যকে সামনে রেখেই সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। গত কয়েকমাস ধরে একাধিক সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে। সেই বয়ানে পাওয়া গিয়েছে সায়নী ঘোষের নাম। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। তাঁর বয়ানে উঠে এসেছে একটি সম্পত্তির তথ্য। সেটা কেনাবেচা সংক্রান্ত ও বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই যুবনেত্রীর।
সায়নী ঘোষের কাছ থেকে ইডি জানতে চায় যুব তৃণমূলের সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের কী যোগ? তাঁর সম্পত্তির উৎসই বা কী? ইডি সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের বেশি কিছু পরিমাণ টাকা গিয়েছিল সায়নীর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে। সূত্র ছিল কুন্তল। অন্যদিকে ইডি সূত্রের খবর সায়নীর একটি ফ্ল্যাট সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য আগে থেকেই চেয়েছিল ইডি। সেগুলি নিয়েই তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।ফ্ল্যাটের ইএমআই থেকে সমস্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে সায়নীর কাছ থেকে।
এদিন ইডি অফিসে গিয়ে সায়নী ঘোষ বলেন তিনি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ইডির মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিশেই তিনি সশরীরে হাজিরা দিয়েছেন। পাশাপাশি সায়নী জানান তিনি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করবেন।
মঙ্গলবার সায়নী ঘোষকে সমন পান হয়। তাঁকে শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার থেকেই কার্যত উধাও হয়ে যান সায়নী। বুধ ও বৃহস্পতিবার তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর সেই কারণ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল সায়নী ঘোষ আদেও আসবে কিনা যাইহোক শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেই তিনি হাজিরা দেন।