শব্দের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে হয়েছে বায়ু দূষণও। কালীপুজো, দীপাবলির রাতের থেকেও বেশি বাজি ফেটেছে কলকাতার বর্ষবরণের উন্মাদনায়। ফলে, শব্দ ও বায়ু, উভয়ের বিপজ্জনক দূষণ নিয়েই নতুন বছরকে স্বাগত জানাল মহানগরী।
রাত বারোটা বাজতেই শহর জুড়ে চড়ল উন্মাদনার পারদ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে যে পরিমাণে শব্দবাজি ফাটল, তাকে উদযাপন না বলে ‘তাণ্ডব’-ই বলা যেতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দীপাবলির রাতকেও হার মানিয়ে দিয়েছে বর্ষবরণের বাজি ফাটানো। শহর থেকে শহরতলি, সমস্ত এলাকাতেই চলল ব্যাপক পরিমাণে বাজির তাণ্ডব।
-
৩১ ডিসেম্বর, রবিবার সন্ধ্যা হওয়ার পর থেকেই শহর এবং শহরতলির অধিকাংশ এলাকাতেই গাঁক গাঁক করে বাজতে শুরু করেছিল বিশাল বিশাল সাউন্ড বক্স, কিছু মানুষের উৎসবের মেজাজে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সামিল হতে হয়েছে গোটা এলাকাকে। সেই শব্দের দাপট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করল রাত বারোটা বাজার পর। শব্দবাজি আর আতসবাজির দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষত শিশু এবং বৃদ্ধরা।
-
নিউ মার্কেট থেকে কসবা কিংবা পাটুলি, বাজির আওয়াজ হয়ে উঠেছিল মাত্রাছাড়া। সর্বত্রই শব্দের মাত্রা চড়েছিল ৬৫ ডেসিবেলের ওপরে। এই অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি হাসপাতাল চত্বরও। রিপোর্ট অনুযায়ী, এসএসকেএস হাসপাতালের কাছে রাত ১২টায় শব্দদূষণ ছিল ৫০.৯ ডেসিবেল, আরজি কর এলাকায় শব্দদূষণ ৬০ ডেসিবেলও ছাড়িয়ে গিয়েছে। শব্দের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে হয়েছে বায়ু দূষণও। কালীপুজো, দীপাবলির রাতের থেকেও বেশি বাজি ফেটেছে কলকাতার বর্ষবরণের উন্মাদনায়। ফলে, শব্দ ও বায়ু, উভয়ের বিপজ্জনক দূষণ নিয়েই নতুন বছরকে স্বাগত জানাল মহানগরী।