সিন্ডিকেট থেকে জাল ওষুধ, অভিযোগের পাহাড়! তরুণী চিকিৎসক হত্যা রহস্যের পিছনে আসল কারণ কী?

ঠিক কোন কারণের জন্য হত্যা? উত্তর খুঁজছে সিবিআই (CBI)। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) রাতের অন্ধকারে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পিছনে আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

Subhankar Das | Published : Aug 18, 2024 6:07 AM IST

ঠিক কোন কারণের জন্য হত্যা? উত্তর খুঁজছে সিবিআই (CBI)। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital) রাতের অন্ধকারে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পিছনে আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়েই উঠে আসছে জাল ওষুধের প্রসঙ্গটি। রাজ্য সরকারের সরবরাহ করা ওষুধপত্র অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে দিনের পর দিন জাল ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন বড়সড় দুর্নীতির কথা কি জেনে গেছিলেন সেই তরুণী চিকিৎসক?

Latest Videos

এই নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছে বিস্তর। যদিও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কেউই কিছু বলছেন না। তবে ঐ চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার নেপথ্যে বিভিন্ন কারণের সঙ্গে এই প্রসঙ্গটিকেও সামনে আনছেন আর জি কর সহ বাইরের চিকিৎসকদের একাংশ।

উল্লেখ্য, এটি একটি দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে, সরকারি হাসপাতালে দিনের পর দিন নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। বারবার বলার পরেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে কিছুই করা হয় না বলে দাবি করেন স্বাস্থ্য মহলের একাংশই।

তাদের দাবি, বিশেষ ক্ষমতাসীন একটি গোষ্ঠীর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় ওষুধ সরবরাহের বিষয়টি। কোন সংস্থা সেই বরাত পাবে, তা স্থির করে দেন ঐ গোষ্ঠীর সিনিয়ররা। আর জি কর কাণ্ডের পরে এই বিষয়টি যেন আবারও প্রকাশ্যে উঠে আসতে শুরু করেছে। কারণ, ঐ মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তন এক আধিকারিক অভিযোগ তোলেন যে, চিকিৎসা বর্জ্য থেকে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, রক্তের পাউচ, স্যালাইনের বোতল সহ বিভিন্ন জিনিস পদার্থ কালোবাজারে বিক্রির চক্র চললেও কারও কিছু বলার ছিল না।

সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন ঐ বিশেষ গোষ্ঠীর অতি ঘনিষ্ঠ অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। এমনকি, প্রতিবাদ করার দরুণ ঐ আধিকারিককেই বদলি করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন; 

'এনাফ ইজ এনাফ, দোষীরা শাস্তি না পেলে প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে', বিস্ফোরক মীনাক্ষী

অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটার কথায়, “নিম্নমানের ওষুধ কেনা এবং প্রয়োজন না থাকলেও ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেনা থেকে চিকিৎসাজনিত বর্জ্য বিক্রি, সবেতেই একটা সিন্ডিকেট চলত। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ শুনে আসছি আমরা। সিবিআই তদন্তেও এই বিষয়টি উঠে আসা উচিৎ।”

প্রসঙ্গত, ওষুধের গুণগত মান নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের। সম্প্রতি শহর এবং জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে হটাৎ করেই একাধিক প্রসূতির মৃত্যুর জন্য বিশেষ এক ধরনের স্যালাইনকেই দায়ী করেন চিকিৎসকেরা।

যদিও স্বাস্থ্য দফতরের গুণগত মানের পরীক্ষায় তা পাশ করে গেছিল। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে চিকিৎসক মহলেও।

সেখানেই শেষ নয়। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে আবার শিশুদের ইনজেকশনের মধ্যে ছত্রাক মিলেছিল। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কালো তালিকাভুক্ত একটি সংস্থাই তা সরবরাহ করেছিল। অনেক সিনিয়র চিকিৎসকের মতে, “ওষুধের মান নিয়ে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও তা বদলানো হয় না। একই সংস্থাকে রেখে দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতাসীন কারও ছত্রচ্ছায়া না থাকলে এটা কখনোই সম্ভব নয়।”

আরও পড়ুন;

হরিনাভিতে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বিক্ষোভ, বিচার চেয়ে প্রতিবাদে প্রীতম কোটাল

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! দিদি চোর...' হাতে বাঁশ নিয়ে TMC নেতাদের অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা! | Panskura Flood |
Suvendu Adhikari Live : কি ফাঁস হতে চলেছে! সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী, সরাসরি
ভয়ঙ্কর অবস্থা! নদী বাঁধে বিশাল ধস, মাথায় হাত! গোসাবায় চরম আতঙ্ক ঘরে ঘরে | Gosaba News Today
পুলিসের সামনেই চলে অরাজকতা! যা হল দেখুন | Nadia News Today
দুঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ! RG Kar কাণ্ডে কার কার নাম বললেন মীনাক্ষী CBI-কে! দেখুন | Minakshi Mukherjee |