
Kolkata News: বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের নির্বাচন। তার আগে ব্রিগেডে ফের হিন্দু অস্ত্রে শান দিতে আসরে নামছে গেরুয়া শিবির। ৭ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বসছে লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আসর। এদিন সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, সনাতন সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে প্যারেড গ্রাউন্ডে এক অভূতপূর্ব আধ্যাত্মিক মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে—“পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ”। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ভক্তি ও সাধনার আবেশে মুখরিত হয়ে ওঠে চারদিক। লক্ষাদিক মানুষের পদধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে গোটা ময়দান, ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এক অলৌকিক ধর্মীয় পরিবেশ।
এই মহাযজ্ঞে উপস্থিত থাকছেন যোগগুরু বাবা রামদেব, বিশিষ্ট সাধক কার্তিক মহারাজ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় দুই শতাধিক সাধু-সন্ত ও মহন্তগণ। তাঁদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য আরও গভীরতর হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে কলকাতামুখী ট্রেনগুলিতে। দূর-দূরান্তের গ্রাম, শহর ও জেলার মানুষ হাতে গীতা, কপালে তিলক, মুখে জপ—এই ব্রত নিয়ে রওনা দিয়েছেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। স্টেশনে ভক্তদের দীর্ঘ লাইন, চোখেমুখে শুধুই একটাই প্রত্যাশা—এই ঐতিহাসিক গীতা পাঠ যজ্ঞের অংশ হওয়ার সৌভাগ্য।
সমবেত লক্ষাধিক কণ্ঠে যখন একসঙ্গে শ্লোক উচ্চারণ ধ্বনিত হবে, তখন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড পরিণত হবে এক বিশাল ধর্মীয় চেতনাকেন্দ্রে—যেখানে ভক্তি, ঐক্য ও আত্মিক শক্তির এক অনন্য সমাবেশের সাক্ষী হবে গোটা বাংলা। এই মহতী আয়োজন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ভারতীয় আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক গৌরবময় প্রকাশ, যেখানে মিলিত হচ্ছে বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও মানবাত্মার একতার সুর।
সূত্রের খবর- সকাল ৮ টায় রবীন্দ্র নাথ ভট্টাচার্যের বেদ পাঠের মাধ্যমে শুরু হবে অনুষ্ঠান তারপর সমবেত কণ্ঠে ধর্মীয় ভক্তি গীতি। সকাল ৯ টায় রোডের শেষ থেকে মঞ্চ পর্যন্ত রথে গীতাজির শোভা যাত্রা। শোভা যাত্রা শেষে মঞ্চে স্থাপন আরতি ভগবত গীতার। মূলমঞ্চ পার্থ সারথি মঞ্চ - ১৫০ সাধু দেশ বিদেশ থেকে আসা সাধুরা থাকবেন এই মঞ্চে।
বাকি ২০০০ সাধু রা মূল মঞ্চের দু দিকের মঞ্চে থাকবেন। ৯.৩০ টা থেকে প্রবচন পর্ব চলবে ১১.৩০ টা পর্যন্ত। তারপর হবে সংকল্প। এরপর থেকে গী৫তার তিনটি অধ্যায় পাঠ চলবে । কাজী নজরুল ইসলামের ভক্তি গীতি হবে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য ২৫ টি গেট থাকছে। ধুতি পাঞ্জাবি সাদা পোশাকে আগতদের গীতা দান করা হবে। ১২.৩০ টা পর্যন্ত গীতা পাঠ হবে তার পর আবার প্রবচন।
৫১২৬ তম জন্ম জয়ন্তী গীতার স্কুল কলেজে গীতা পাঠের আবেদন। রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মঞ্চে থাকবেন এবং গীতা পাঠ করবেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন একাধিক বিজেপি নেতা। বাংলাদেশ, নেপাল, উড়িষ্যা, বিহার , ঝাড়খণ্ড থেকে ভক্তরা উপস্থিত থাকবেন। মূল অতিথি হিসাবে থাকবেন জ্ঞানানন্দ মহারাজ-জি। তার সঙ্গে বাগেশ্বর ধামের পীঠ অধিশ্বর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, পদ্মভূষণ সাধ্বী ঋতম্ভরাজি এবং যোগগুরু রামদেবেরও আসার কথা রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।