দিল্লী থেকে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C.V. Anand Bose)। তাঁর কথায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর কোনও আস্থা নেই মানুষের।
দিল্লী থেকে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C.V. Anand Bose)। তাঁর কথায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর কোনও আস্থা নেই মানুষের।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়েছে বাংলার মানুষ।” আর জি কর কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি জানান, “এই ঘটনা সমাজের জন্য সবচেয়ে লজ্জাজনক মুহূর্ত।” ইতিমধ্যেই তাঁর নির্দেশ মেনে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজভবনে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার, দিল্লীতে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে এইমুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো তোলপাড় চলছে।
উল্লেখ্য, মৃতার ন্যায়বিচারের দাবিতে সম্প্রতি মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারপর তিনি বক্তব্যও রাখেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সেইসব ভাষণ নানা অলঙ্কারে রচিত। কিন্তু এই ঘটনায় তাঁর সামগ্রিক অবস্থান কোন জায়গায়?”
অন্যদিকে, আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি নিয়ে বাংলার রাজ্যপাল জানাচ্ছেন, “শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ শুনে দেশ অনেকটা স্বস্তি পেল।” সেই প্রতিক্রিয়াতেও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে একদমই ছাড়েননি রাজ্যপাল।
তিনি আরও যোগ করেছেন, “এইমুহূর্তে বাংলার অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ছাত্ররা সরকারের উপর কার্যত বিশ্বাস হারিয়েছেন। রাজ্যের যুবকরা ভীতসন্ত্রস্ত এবং মহিলারা রয়েছেন হতাশায়। নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া তো সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, সরকারের ভূমিকা নিয়ে। সাম্প্রতিক ঘটনাটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, এটি সরকারের গাফিলতি।” এমনকি, কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, “কলকাতা পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত এবং রাজনৈতিক মদতপুষ্ট।”
অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকেই রাজভবনে চালু হল বিশেষ একটি কন্ট্রোল রুম। উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যপাল। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সাধারণ মানুষ (০৩৩)২২০০-১৬৪১ এবং ৯২৮৯০ ১০৬৮২, এই দুটি নম্বরে ফোন করে সাধারণ মানুষ তাদের মতামত জানাতে পারবেন। এদিকে এই কন্ট্রোল রুমটি থেকে মঙ্গলবার সকালে প্রথম ফোনটি করেন রাজ্যপাল নিজে। নিহত তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।