উইনস্টন চার্চিল এবং মিল্টনের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এক আসনে বসালেন রাজ্যপাল। তুলনা টানলেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ থেকে এপিজে আবদুল কালামের মতো মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও।
সোমবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সাম্মানিক ডি'লিট তুলে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই সম্মান তুলে দিয়ে তাঁকে কুর্নিশ জানালেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি এদিন সমাবর্তন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়োসী প্রশংসাও শোনা গেল রাজ্যপালের গলায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাহিত্যচর্চাকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। সাহিত্যে মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্বের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্নিশ জানিয়েছে আনন্দ বোস। এখানেই শেষ নয়, উইনস্টন চার্চিল এবং মিল্টনের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এক আসনে বসালেন রাজ্যপাল। তুলনা টানলেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ থেকে এপিজে আবদুল কালামের মতো মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও।
কী বললেন রাজ্যপাল?
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ডি'লিট তুলে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি বললেন,'একজন যোগ্য মহিলার হাতেই সম্মান তুলে দিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। এটা কোনও রাজনৈতিক সম্মান নয়। রাজনীতিতে কৃতিত্বের জন্য মানুষ তাঁকে সম্মান দিয়েছে। এই সম্মান তাঁর সাহিত্য, আঁকা ও কবিতার জন্য। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য গর্বিত।' এখানেই শেষ নয় এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, এপিজে আবদুল কালাম, অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গেও তুলনা করলেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,'যে সকল রাজনীতিবিদ সাহিত্যে অনন্য নজির রেখেছেন তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম। সাহিত্যে তাঁর কৃতিত্বের জন্য কুর্নিশ জানাই।'
সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন মোট ৭৭০ জন পড়ুয়ার হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানেই বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের জন্য সাম্মানিক ডি'লিট তুলে দিল বিশ্ববিদ্যালয়। এই দিনই সেন্ট জেভিয়ার্সের নবনির্মিত প্রশাসনিক ব্লকটির উদ্বোধন করা হয়।
সাম্মানিক ডি'লিট গ্রহণ করে কী প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর?
সেন্ট জেভিয়ার্সের কাছ থেকে সাম্মানিক ডি'লিট গ্রহণ করে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন,'আমি আবেগতাড়িত, আপ্লুত। সেন্ট জেভিয়ার্স পরিবারকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত। আমি আপনাদেরই লোক। আমি একজন সাধারণ মানুষ। তাই এই সম্মান আমি মানুষকেই উৎসর্গ করতে চাই।'
গত বছরই সেন্ট জেভিয়ার্সের ভাইস চ্যান্সেলর ফাদার ফেলিক্স রাজ বলেছিলেন এই বছর বিশ্ববিদ্যালইয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডি'লিট দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়,'সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঁর অবদানের জন্য আমরা এই সম্মান তাঁকে দেব। পশ্চিম বঙ্গের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই ওঁর অবদান রইয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রীর অবদান রয়েছে।'
আরও পড়ুন -
নিরাপত্তার ফাঁকফোকর এড়াতে ৩০টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা মুখ্যমন্ত্রীর আবাসে