চালু হয়েছে হেল্পলাইন। কিন্তু চিকিৎসক পড়ুয়াদের জন্য চালু করা সেই হেল্পলাইন নম্বরে রোগী ভর্তির আর্জি জানিয়ে একের পর এক ফোন আসতে শুরু করেছে।
চালু হয়েছে হেল্পলাইন। কিন্তু চিকিৎসক পড়ুয়াদের জন্য চালু করা সেই হেল্পলাইন নম্বরে রোগী ভর্তির আর্জি জানিয়ে একের পর এক ফোন আসতে শুরু করেছে।
অবাঞ্ছিত সব ফোন সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। তাই আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Medical College & Hospital) পর চিকিৎসক পড়ুয়াদের সহযোগিতার জন্য হেল্পলাইন চালু করার কথা জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। তদন্তে সহযোগিতা করতে বা কোনও তথ্য জানাতে কিংবা এই তদন্ত নিয়ে চিকিৎসক পড়ুয়াদের কোনও প্রশ্ন থাকলে ১৮০০-৩৪৫৫-৬৭৮ এই নম্বরে ফোন করতে পারবেন।
লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই নম্বরে বহিরাগতদের ফোন ঢুকছে প্রচুর পরিমাণে। রোগী বা তাঁর পরিবার হাসপাতালে ভর্তির আর্জি জানিয়ে ফোন করছেন। এদিকে, আর জি কর কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে নাগরিক ক্ষোভ প্রশমনে সোশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নিল কলকাতা পুলিশ।
এদিন কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টে বলা হয়েছে, “একটি কথা সবিনয়ে বলার। সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষত ফেসবুকে ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন অসত্য, অনুমাননির্ভর এবং বিভ্রান্তিকর তত্ত্ব ছড়িয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ। আমাদের আন্তরিক অনুরোধ, না-যাচাই-করা এই ধরণের তত্ত্ব, তথ্য বা গুজবে কান দেবেন না। এতে তদন্তের ক্ষতি হয়, ন্যায়ের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, এবং সর্বোপরি শোকগ্রস্ত পরিবারটি আরও বেশি করে যন্ত্রণাদগ্ধ হয়। আবার বলি, সততা, আন্তরিকতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত চলছে। কাল্পনিক তত্ত্ব এবং গুজব ছড়ালে সেই তদন্তেরই গতি ব্যাহত হয়।”
আরও বলা হয় সেই পোষ্টে, “বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের বলি, আমরা বুঝতে পারছি আপনাদের শোক, সমর্থন করছি আপনাদের ন্যায়বিচারের দাবি। আপনাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বিশ্বাস রাখুন, যত দ্রুত সম্ভব ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। রাজ্যের মানুষকে জানাই, আমাদের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে। কলকাতা পুলিশ যথাসাধ্য দ্রুততায় চার্জশিট জমা করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।