৩১ ডিসেম্বর ছিল রবিবার, অর্থাৎ পুরোপুরি ছুটির মেজাজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একেকটি দর্শনীয় স্পটে দেখা গেল, ভিড়ের চাপে তিল ধারণেরও জায়গা নেই। কলকাতার ময়দান চত্বরেও জমজমাট ভিড় চোখে পড়েছে।
দিনের রোদ্দুরে শহর থেকে শীত কার্যত গায়েব হয়ে গেলেও নতুন বছরের আনন্দ সব আবহাওয়াতেই সমান। হালকা ঠান্ডার আমেজ গায়ে মেখেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠল বাঙালি। ২০২৩ -এর ৩১ ডিসেম্বর, অর্থাৎ, বছরের শেষ দিনে মানুষ ভিড় জমালেন চিড়িয়াখানা, জেল মিউজিয়াম থেকে ইকো পার্ক পর্যন্ত।
শহর হোক, অথবা শহরতলি, বহু বহু মানুষ দূর- দূরান্তের জেলা থেকে এসেও সারা দিন জুড়ে তাঁদের মধ্যে উৎসাহের কোনও খামতি নেই। বছরের শেষ দিন চিড়িয়াখানার আনন্দে মেতে উঠল বাচ্চা -বুড়ো, সকলেই। শুধু পশু-পাখি দেখাই নয়, রীতিমতো চাটাই পেতে গল্পের আসরও জমিয়ে দিলেন আগতরা। খাওয়া-দাওয়া থেকে বিভিন্ন রাইডে চড়া, বর্ষবরণের প্রাক্কালে ভিড়ে ঠাসা রইল কল্লোলিনী কলকাতা। একইরকম ছবি দেখা গেছে ইকো পার্কেও। তবে দিনের শেষে ভিড়ের নিরিখে ইকো পার্ককে জবরদস্তভাবে হারিয়ে দিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা।
-
হিসেব অনুযায়ী, রবিবার চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন ৭০ হাজার ১৭৭ জন মানুষ। ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বছরের শেষ দিনে এসেছিলেন ইকো পার্ক দেখতে। তবে ভিড়ের নিরিখে কিছুটা পিছনেই রয়ে গেল ইকো পার্ক। ৩১ ডিসেম্বর ইকো পার্কে এসেছিলেন ৫৭ হাজার ৩৯৫ জন মানুষ। এই দুটি ছাড়াও শহরের আরও বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করেছিলেন পর্যটকরা। আলিপুর জেল মিউজিয়াম দেখতে আসেন ৭ হাজার ৮০০ জন। সেখানে এয়ারক্রাফট মিউজিয়ামে ২ হাজার ২০০ জন এসেছিলেন। আর মাদার ওয়াক্স মিউজিয়ামে এসেছিলেন ১৬৬৩ জন।
একে বছরের শেষ দিন (New Year 2024)। তার উপর ৩১ ডিসেম্বর ছিল রবিবার, অর্থাৎ পুরোপুরি ছুটির মেজাজ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একেকটি দর্শনীয় স্পটে দেখা গেল, ভিড়ের চাপে তিল ধারণেরও জায়গা নেই। কলকাতার ময়দান চত্বরেও জমজমাট ভিড় চোখে পড়েছে। বর্ষবরণের প্রাক্কালে অবশ্য বিজয়ীর হাসি হেসেছে অতি প্রাচীন চিড়িয়াখানাই।