কেমন আছে RG Kar-কাণ্ডে একমাত্র দোষী সঞ্জয় রায়? দেখুন জেলবন্দির জীবনের খাতা

Published : Aug 08, 2025, 09:21 AM ISTUpdated : Aug 08, 2025, 09:30 AM IST

RG Kar-কাণ্ডে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়ের জীবনের চাকা ঘুরে গিয়েছে। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি সঞ্জয়ের দিনলিপি রইল।

PREV
16
RG Kar-কাণ্ডের এক বছর

দেখতে দেখতে ঘুরে গেল একটি বছর। কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে RG Kar-কাণ্ড নিয়ে। নতুন করে বেশ কিছু কর্মসূচি। কিন্তু এই সবের মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে RG Kar মেডিক্যাল কলেজ হাসপালের একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়ের অবস্থা নিয়েও খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। ঘটনার বর্ষপূর্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়ও যেন প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। কেমন রয়েছে সঞ্জয় রায়? কীভাবে দিন কাটছে তার?

DID YOU KNOW ?
RG Kar-কাণ্ড কী?
এক বছর আগে RG Kar মেডিক্যাল কলেজে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের নিথর দেহ। খুন করা হয়েছিল। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। কলকাতা-সহ গোটা বঙ্গই জ্বলে উঠেছিল প্রতিবাদ আন্দোলনে। ঘটনার তদন্ত প্রথমে ছিল কলকাতা পুলিশের হাতে। এখন তদন্ত করছে CBI।
26
জেলবন্দি সঞ্জয় রায়

বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছে সঞ্জয় রায়। কোর্ট তাকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। প্রেসিডেন্সি জেলের ৬ নম্বর সেল সঞ্জয় রায়ের বর্তমান ঠিকানা। জেলেই দৈনিক ৮০ টাকা মজুরিতে বাগান পরিচর্যার কাজ পেয়েছে সে। সাজা ঘোষণা হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ৬ মাস।

36
জেলের দিনগুলি

প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রের খবর, শাস্তি ঘোষণার কিছুটা হলেও মনমরা হয়ে থাকত সঞ্জয়। কিন্তু বর্তমানে জেলের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। প্রথম দিকে সেলের বাইরে বার হত না সঞ্জয়। কিন্তু এখন অন্য কয়েদিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে। ক্যারাম খেলে। সকাল-সন্ধ্যে বাগান পরিচর্যা করে। মাঝেমধ্যে টিভি দেখে সঞ্জয়। জেল সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে জেলের জীবন মানিয়ে নিচ্ছে সঞ্জয় রায়।

46
সঞ্জয়ের মানসিকতা

জেলের একটি সূত্র দাবি করছে, জেলের মধ্যে সঞ্জয় শান্ত অবস্থাতেই রয়েছে। তার তেমন কোনও চাহিদা নেই। নিজের মত নিজে থাকে। জেল কর্তৃপক্ষেরও তাকে নিয়ে কোনও ঝামেলা নেই। সঞ্জয়ের সঙ্গে জেলে এই ৬ মাসে কেউ দেখা করতে আসেনি জেলে। পরিবারের কোনও সদস্য খোঁজখবরও নেয় না। পরিবার পরিজন থেকে সঞ্জয় প্রায় বিচ্ছিন্ন বলেও মনে করছে জেল কর্তৃপক্ষ।

56
প্রশ্ন সঞ্জয়ের উপার্জিত অর্থ নিয়ে

সঞ্জয় জেলে দৈনিক ৮০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন। সেই টাকা জমা হয় তারই ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে। জেলের নিয়ম অনুযায়ী সঞ্জয় সেই টাকার পুরোটা খরচ করতে পারবে না। অর্জিত অর্থের অর্ধেকটা সে প্রয়োজনে জেলবন্দি অবস্থায় নিতে পারে। নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। বাকি টাকা মুক্তির পরে পাওয়ার কথা। কিন্তু সঞ্জয়ের মুক্তি পাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। কারণ সে গোটা জীবনের জন্য জেলবন্দি। তাই তার উপার্জিত টাকা কে পাবে তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ পরিবারের কোনও সদ্য এখনও সঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে জেলে যায়নি।

66
দাপট নেই সঞ্জয়ের

জেল বন্দি অবস্থায় সঞ্জয়ের পুরনো সেই দাপট নেই। তেমনই জানা গিয়েছে জেল সূত্রে। কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার থাকার সময় সঞ্জয় নিয়মিত বক্সিং খেলত। ওয়েলফেয়ার সেল থেকে বাইক বাগিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু সেই দিন নেই। জীবনের চাকা ঘুরে গিয়েছে। জেলে খেলাধূলার ব্যবস্থা থাকলেও সঞ্জয়ের সেসবে উৎসহ নেই। নিজের কাজ ছাড়া তেমন কোনও কাজে তাকে দেখা যায় না।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories