" বুক টিপে জিজ্ঞেস করে, এটা আসল না নকল?" রবীন্দ্রসদনে রূপান্তরকামী নারীকে হেনস্থা, বিস্ফোরক বন্যা কর
"রূপান্তরকামী বোনের বুক টিপে জিজ্ঞেস করে, এটা আসল না নকল? ওজন কত? এমন নোংরামির প্রতিবাদে তার সঙ্গীরা তেড়ে গেলে আরপিএফ রাম কিষন রাম আরেক রূপান্তরকামী বোনের হাতে হাত ডলতে ডলতে বলে আসুন না আলাদা ঘরে গিয়ে একা কথা বলি। " বিস্ফোরক বন্যা কর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসদনে ২ রূপান্তরকামী মহিলাকে নিগ্রহ। নিজের ফেসবুক ওয়ালে লাইভ করে এই কথা সকলকে জানা বন্যা কর। শুধু তাই নয়, লাইভে পুলিশ কর্মীর মুখও দেখিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কী ঘটেছিল সেদিন? এ প্রসঙ্গে বন্যা জানিয়েছেন, "সন্ধ্যা ৬:৩০টা নাগাদ রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে রাণুছায়া মুক্তমঞ্চ থেকে আমার কিছু রূপান্তরকামী নারী বোনেরা আরজি করের ওই ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ করে হাসপাতালের দিকে রওনা দিচ্ছিল।
রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১ এবং ২ এর যে প্ল্যাটফর্ম এন্ট্রির জন্য টিকিট পাঞ্চিংয়ের জায়গা আছে সেখানে টিকিট থাকা সত্ত্বেও একজন রূপান্তরকামী বোনকে এক মহিলা আরপিএফ ঢুকতে দেয় না। এবং বলা হয় উপর থেকে অর্ডার আছে যে সে ও তার সঙ্গীরা মেট্রোতে উঠতে পারবে না। এর প্রতিরোধে কী অর্ডার এবং কেন এমন অর্ডার জানতে চাওয়ায় আরেকজন পুরুষ আরপিএফ সেই রূপান্তরকামী বোনের বুক টিপে জিজ্ঞেস করে, এটা আসল না নকল? ওজন কত? এমন নোংরামির প্রতিবাদে তার সঙ্গীরা তেড়ে গেলে আরপিএফ রাম কিষন রাম আরেক রূপান্তরকামী বোনের হাতে হাত ডলতে ডলতে বলে আসুন না আলাদা ঘরে গিয়ে একা কথা বলি। "
এরপরই প্রতিবাদ শুরু করেন রূপান্তরকামীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদ করা শুরু হলে আরও এক ট্রান্স বোনকে বুকে ধাক্কা মেয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। বলে অভিযোগ করেছেন বন্যা।
এ ছাড়াও বন্যা জানান, " বাড়ি ফেরার জন্য আমি যখন মেট্রো ধরতে গিয়েছি আমার বোনেদের স্টেশন মাস্টারের ঘরে দেখতে পেয়ে ছুটে যাই। জানতে পারি তারা ভবানীপুর থানায় এফআইআর করেছে এবং স্টেশন মাস্টারের অপেক্ষা করছে যিনি বিগত তিন ঘন্টা ধরে ডিউটিতে থাকা সত্ত্বেও স্টেশনে নেই। আমি একজন আরপিএফকে খুব নম্র ভাবে জিজ্ঞেস করি কী হয়েছে?
উনি ভাবেন আমি অন্যান্য যাত্রীদের মতোই কৌতূহল নিয়ে এসেছি। আমাকে বলে ম্যাডাম কিছুই না আমার কলিগ শুধু ফিল নিতে চেয়েছিল ওর বুকটা অরিজিনাল না ফেক! আমি চিৎকার করে উঠলে উনি হেসে বলেন এত ইস্যু কেন করছেন? সেই ব্যক্তির নাম অসীম ঘোষ"
ইতিমধ্যেই তাঁরা ভবানীপুর থানায় ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআরদায়ের করেছেন। এরপর থানা থেকে এসে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে যাওয়া হয়। ২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
কিন্তু কেন আটকানো হল রূপান্তরকামীদের তা জিজ্ঞাসা করা হলে বন্যা জানায়, " রূপান্তরকামী বোনেরা মিডিয়াকে জানায় যে তাঁরা স্টেশনের ভিতর থেকে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান তুলেছেন। যার দরুণ এই ঘটনার সূত্রপাত"।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।