কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিরউদ্দিন। তবে এদিনের তল্লাশি নিয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। যদিও তৃণমূলের বিধায়ক জানিয়েছেন ওই টাকা তাঁর।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে আয়কর দফতর তল্লাশি চালিয়েছিল তৃণমূলের কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য আমিরউদ্দিন ববির হোটেলেও। টানা ৩৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর রাতের বেলা হোটেল ছেড়ে বার হলে আয়কর দফতরের কর্তারা। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ তৃণমূল নেতার মৌলালি হোটেলে তল্লাশি শুরু করেছিল আয়কর দফতর। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে তারা সেখান থেকে বার হন।
বুধবার রাজ্যের একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সেই তালিকায় ছিল রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস আর কারখানাও। তাঁর অফিস থেকে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। তারই মধ্যে আয়কর দফতের এক দল অফিসারের গন্তব্য ছিল আমিরউদ্দিনের বাড়ি আর অফিস। তবে আমিরউদ্দিনের হোটেল থেকে কোনও অর্থ উদ্ধার হয়েছে কিনা তা এখনও জানায়নি আয়কর বিভাগ। সূত্রের খবর রিপন স্ট্রিটের এই হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখে আয়কর দফতের আধিকারিকরা জানতে পেরেছে সেখানের বিদ্যুতের বিলে নাম রয়েছে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদের সদস্য আমিরউদ্দিনের।
কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিরউদ্দিন। তবে এদিনের তল্লাশি নিয়ে তিনি এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। যদিও তৃণমূলের বিধায়ক জানিয়েছেন ওই টাকা তাঁর। জাকির হোসেনের দাবি তাঁর অধীনে ৭ হাজার শ্রমিক ছিল, তাদের বেতন দেওয়ার জন্য প্রচুর টাকার দরকার হয়। আর সেই কারণে তিনি অফিস আর বাড়িতে নগদ টাকা রাখেন। যদিও আয়কর দফতর সূত্রের খবর টাকা উৎস সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দিতে পারেননি তৃণমূ বিধায়ক। আর সেই কারণে ১০ কোটিরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
একটা সময় শুধু ব্যবহাসীয় হিসেবে পরিচিত ছিলেন জাকির হোসেন। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। রাজ্যের বিড়ি শিল্পপতিদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। একদিকে বিড়ি শিল্প অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চালকল- সবক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন প্রথম সারিতে। সুতি এলাকায় তাঁর বিশাল বাড়ি যে কোনও মানুষেরই নজর কাড়বে। সুতির ঔরাঙ্গাবাদের বাড়িতেই রয়েছে তাঁর বিড়ি কারখানা। এদিন তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতরের টাকা উদ্ধারের পর তিনি নিজে জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদে যেসব বিড়ি শিল্পপতি রয়েছেন তাদের মধ্যে তিনি সবথেকে বেশি আয়কর দেন। একাধিল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে জারিক হোসেনের নাম। তবে এই ঘটনায় কিছুটা হলেও সমস্যা বাড়ছে তৃণমূলের।