আবারও চর্চায় কামদুনি ধর্ষণ-কাণ্ড, এবার সাজা মকুবের আর্জি নিয়ে ৬ সাজাপ্রাপ্ত আসামী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ

 

কামদুনির নৃশংস ধর্ষণকাণ্ড আবারও চর্চায়। কারণ ৬ সাজাপ্রাপ্ত আসামী সাজা মকুবের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। শুনানি শুরু হবে চলতি বছর ডিসেম্বরে।

Web Desk - ANB | Published : Nov 21, 2022 11:34 AM IST

কামদুনি ধর্ষণ-কাণ্ডে সাজা মকুবের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ৬ জেলবন্দি আসামী। সোমবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিসন বেঞ্চে। ২০১৬ সালে কামদুনি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করেছিল নগর দায়রা আদালত। এই ঘটনায় মোল অভিযুক্ত ছিল ৯ জন।

কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডের শুনানির সময়ই গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। বাকি দুই অভিযুক্তি রফিক গাজি ও নুর আলিকে বেকুসুর খালাস করে দেয় আদালত। সাজা দেওয়া হয়েছিল ৬ জনকে। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হল- সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলাম। দোষীদের মধ্যে আনসার, সইফুল আর আমিনকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল। ইমানুল, ভোলানাথ আর আমিনুরকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীরা ৬ জন দোষী সাব্যস্তদের সাজা মকুব কার আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পাশাপাশি তারা আরও জানিয়েছে, কামদুনিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আনসার নন, সইফুল। আর সেইজন্য পাঁচ জনের সাজা মকুবের আর্জি-বলেও আবেদনপত্রে জানান হয়েছিল। একই সঙ্গে সইফুলের প্রাণভিক্ষারও আবেদন করা হয়েছে।

এই মামলায় রাজ্যের তরফে আইনজীবী ছিলেন নেগিভ আহমেদ। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী ছিলেন জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। এদিনও আদালতে হাজির ছিলেন নিহত নির্যাতিতার গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী কয়াল, কামদুনির মাস্টারমশাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় ও নির্যাতিতার ভাইয়েরা। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হবে।

২০১৩ সালের ৭ জুলাই কলেজ ফের ছাত্রীকে একটি কারখানার পাঁচিলের পিছনে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়। নির্যাতিতার পা চিরে দিয়ে খুন করে আসামীরা। সেই সময় নির্যাতিতা রজঃসলা ছিল বলেও জানিয়েছিল পুলিশ। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। কামদুনি-কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছিল মৌসুমী আর টুম্পা কয়াল। রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলন হয়েছিল। প্রবল জনমতের চাপে এই ঘটনার তদন্ত যায় সিআইডির হাতে। সাজাও ঘোষণা হয়। দীর্ঘ নয় বছর পর দোষীরা সাজা মকুবের আর্জি জানানোন আবার নতুন করে কামদুনি-কাণ্ড নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

প্রেমিকাকে হত্যা করে দেহ ৬ টুকরো করল প্রেমিক , কাটা মাথার সন্ধানে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি

তিনটি হাড়ের টুকরো আর একটি ভাঙা চোয়াল উদ্ধার, সেগুলি শ্রদ্ধা ওয়াকারের কিনা জানতে পরীক্ষা দিল্লি পুলিশের

লাল ঝাণ্ডা নিয়ে সিপিএম-এর মিছিলে হাঁটায় মাকে 'শান্তি' তৃণমূলী ছেলের, বেধড়ক মারধরে জখম বৃদ্ধা

 

 

Share this article
click me!