অনশনের আজ দ্বাদশ দিন, হাসপাতালে ভর্তি ৬ অনশনকারী, জেনে নিন কেমন আছেন পুলস্ত্য থেকে তনয়া
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন আজ দ্বাদশ দিনে পড়ল। অনশনকারীদের মধ্যে ছয়জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দশ দফা দাবি নিয়ে অনশন চলছে, এখনও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সাড়া মেলেনি।
ধর্মতলায় অনশনের আজ দ্বাদশ দিন। ধর্মতলা ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে হচ্ছে অনশন। সদ্য আরও দুজন যোগ দিয়েছেন অনশনে। ৬ অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ইতিমধ্যে।
৫ অক্টোবর থেকে স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা- অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। ১১ অক্টোবর থেকে যোগ দিয়েছেন আলোলিকা ঘোড়ুই, পরিতয় পাঁজা। ১৪ অক্টোবর যোগ দেন সন্দীপ মণ্ডল। ১৫ অক্টোবর যোগ দেন রুমেলিকা কুমার, স্পন্দন চৌধুরী।
ইতিমধ্যে অনশন করতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ছয় জন। তনয়া পাঁজা, সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, আলোক বর্মা এবং অনিকেত মাহাতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
পুলস্ত্য আচার্য পেটে যন্ত্রণা ও বমির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। তিনি আগের থেকে সুস্থ। তবে, মাঝে মধ্যে জ্বর আসছে তাঁকে স্যালাইন দেওযা হচ্ছে। তাঁর শরীরে এখনও জলশূন্যতার সমস্যা আছে।
অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আগের থেকে সুস্থ। ভর্তির সময় তাঁর মলের রং কালো থাকায় চিকিৎসকরা চিন্তিত ছিলেন। কারণ শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হলে এমন হয়। বর্তমানে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।
তনয়া পাঁজা সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি আগের থেকে সুস্থ। তবে, এখনও তাঁর শরীরে পটাশিয়াম কম আছে।
অনেক মাহাতো অনশনের চার দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হন। আগের থেকে তিনি অনেক সুস্থ। দু-এক দিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
উত্তরবঙ্গে অনশন শুরু করেন আলোক বর্মা ও সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌভিকের এখনও স্যালাইন চলছে। অনশনের তিন দিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে আগের থেকে সুস্থ আছেন।
এখনও চলছে অনশন। দশ দফা দাবি নিয়ে অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে, এখনও মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সমস্যা সমাধানে কোনও পদক্ষেপই নেননি।
গতকাল কর্নিভালের দিন অনশনকারীরা মিছিল করেন। সেই মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ দ্বাদশ দিনে অনশন করছেন স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা। পরে যোগ দেন আলোলিকা ঘোড়ুই, পরিচয় পাণ্ডা, স্পন্দন চৌধুরী, রুমেলিকা কুমার।