আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার নিন্দায় সরব সারা দেশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও সব রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হয়নি।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কি একজনই জড়িত ছিল না একাধিক ব্যক্তি? মৃতার দেহ যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তাতে এই প্রশ্ন উঠছিল। এবার সন্দেহ জোরদার করল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক অডিও ক্লিপ। এই ভাইরাল অডিওতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের এক ইন্টার্নের সঙ্গে অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি চিকিৎসকের কথা শোনা যাচ্ছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও তাঁর সহযোগীদের দিকে আঙুল তুলেছেন ওই ইন্টার্ন। তিনি জানিয়েছেন, সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদেরই এক সহপাঠী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।
ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে আরও কেউ ছিল?
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন বলেছেন, 'একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সরব হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের মন থেকে এই ঘটনা মুছে ফেলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আমাদের এটুকু বুদ্ধি আছে যে ওর পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যেরকম আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে এটা একজনের কাজ নয়। অন্তত ২-৩ মিলে এই কাজ করেছে। আমাদের সন্দেহ এটা ইন্টার্নের কাজ। ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারের। ফলে নাম করতে পারব না। তাতে আমাকে সমস্যায় পড়তে হবে।'
মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা?
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নের দাবি, 'আমার ব্যাচমেট এরকম করতে পারে ভেবে খারাপ লাগছে। ওকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই আন্দোলন চালানো হচ্ছে। অধ্যক্ষ ও তাঁর শাগরেদরা এই খেলা খেলছেন। পুরো আন্দোলনটাই সাজানো। আর জি কর কর্তৃপক্ষ আমাদের পাশে নেই। আমাদের নিরাপত্তা নেই।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'মর্মান্তিক ঘটনা, পুনরাবৃত্তি যেন না হয়,' বার্তা আর জি করের পরিবারের