সংক্ষিপ্ত
" করোনাকালে অমানুষিক পরিশ্রম করে পরিষেবা দিয়েছেন" ঠিক কেমন ছিলেন আরজিকরের মৃত চিকিৎসক?
আরজিকরের ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। নসৃংশ ভাবে হত্যা করা হয়েছে মহিলা চিকিৎসককে। ইতিমধ্যেই একজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় রায়। অকালে প্রাণ গিয়েছে এক তরুণীর। শুধু পরিবারই নয় তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত পুরো রাজ্য। সহকর্মীরাও ভেঙে পড়েছেন। ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবি ছাত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর সম্পর্কে কী বলেছেন তাঁর সহকর্মীরা?
সহকর্মীরা জানিয়েছে, করোনাকালে অমানুষিক পরিশ্রম করে পরিষেবা দিয়েছেন। অত্যন্ত অমায়িক ব্যবহার ছিল তাঁর। অত্যন্ত ভাল স্টিচ করতে পারতেন এই চিকিৎসক। রোগীদের সঙ্গেও অত্যন্ত ভাল ব্যবহার করতেন তিনি।
আরজিকরের আগে মধ্যমগ্রাম মাতৃসদনে কাজ করতেন নির্যাতিতা। তাঁকে ভালবাসতেন পুরান সহকর্মীরাও। এক সহকর্মী জানান, "এত ভাল মেয়ে আর পাওয়া যাবে না। তাঁর ব্যবহার, তাঁর চিকিৎসা, রোগীদের বোঝার ক্ষমতা ছিল অনস্বীকার্য। এত ভাল স্টিচ করতে পারেন কজন ডাক্তার? খুবই গুণী ছিলেন।"
অত্যন্ত সময় মেনে ডিউটি করতেন মৃত চিকিৎসক। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস স্পেশালাইজড অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ইনচার্জ পঙ্কজ কান্তি চন্দ্র জানিয়েছেন “উনি এখানে সম্মানের সঙ্গে কর্মরত ছিলেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি। তবে সকলের মুখে ওঁর কথা শুনেছি। ভাবতেই পারছি না, ওঁর এরকম পরিণতি হল!” আইসিসিইউর সিস্টারের কথায়, "ওঁর সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। হাতের লেখা মুক্তোর মতো। অমায়িক ব্যবহার করতেন।"
নির্যাতিতা সম্পর্কে ওয়ার্ড মাস্টার সুখেশ রায় বলেছেন, “ অনেকেই আসেন, চিকিৎসা করে চলে যান, কিন্তু তিনি মনে রাখার মতো চিকিৎসক ছিলেন। এই জঘন্য অপরাধের চরম শাস্তি চাই।"