পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা সেলফি তোলার জন্য দেওয়ালের গায়ে ঝুঁকে পড়েছিলেন। দুর্ঘটনাক্রমে তিনি নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
পারিবারিক গেট-টুগেদারে যোগ দিতে এসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন ৫৭ বছর বয়সী এক মহিলা। কাঁকুড়গাছির একটি রেস্তোরাঁয় প্রায় ২৫ ফিট উচ্চতা থেকে পড়ে মৃত্যু হল তাঁর। ওই রেস্তোরাঁর টেম্পারড গ্লাসে ভর দিয়ে সামনের দিকে ঝুঁকে থাকার সময়েই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। তাঁর শরীরের ভারে হঠাৎ করেই টেম্পারড গ্লাসটি ভেঙে যায় এবং তাঁকে আটকানোর জন্য আর কোনও বাধা ছিল না।
সূত্রের খবর, নিহত মহিলা হাওড়া জেলার শিবপুরের বাসিন্দা, তাঁর নাম পদ্মা মালু। পরিবারের আরও ১০ জন সদস্য এবং পরিচিতদের সাথে রেস্তরাঁয় আনন্দ উদযাপন করতে এসেছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্তের পর ডিসি (ইএসডি) গৌরব লাল জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রেস্তোরাঁর দ্বিতীয় তলায় কাঁচের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পদ্মা মালু সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ার ফলে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। তিনি বলেন, “কাচের দেয়ালটি ভেঙে পড়ে এবং তিনি নিচে পড়ে যান। তাঁকে অবিলম্বে অচেতন অবস্থায় নিকটবর্তী একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তড়িঘড়ি একটি বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।” নিহত পদ্মা মালুর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই রেস্তরাঁয় একটি পারিবারিক গেট-টুগেদারের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা সেলফি তোলার জন্য দেওয়ালের গায়ে ঝুঁকে পড়েছিলেন। দুর্ঘটনাক্রমে তিনি নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তখনই কাঁচের দেওয়াল ভেঙে পড়ে এবং তিনি নীচে পড়ে মারা যান। রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা জানিয়েছেন যে, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যাওয়া পরিণতি দেখে তাঁরাও একেবারে বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। টেম্পারড গ্লাসের দেওয়াল কীভাবে ভেঙে গেল তা জানতে পুলিশ ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করছে।
যাঁরা কাঁচের দেওয়াল পরীক্ষার জন্য কাজ করছেন, তাঁরা বলেছেন যে, কাঁচের প্যানেলটি এর অনেক আগেই প্রচণ্ড তাপ বা চাপের কারণে ভেঙে গিয়েছিল। বুধবার যখন পদ্মা মালু এসে এর উপর সামান্য একটু চাপ প্রয়োগ করেন, তখনই এটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন-
BJP News: কর্ণাটকে বিজেপির জোড়া মহাস্ত্র, পর পর কর্মসূচিতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ
চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে বিপজ্জনক ধস, সেক্টর ফাইভমুখী রাস্তায় বড় বড় গর্তে গাড়িচালকদের প্রাণসংশয়