
Kolkata: বারবার ডেকেও মেলেনি সাড়া। দরজা খুলতেই সামনে এলো ভয়ঙ্কর ঘটনা। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়ায় প্রবীণ গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু। তদন্তে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার নিউ গড়িয়া কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি (পি.এস. পঞ্চসায়র)-এ এক প্রবীণ গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী মধুমিতা হালদার বারবার ডাকার পরও ভেতর থেকে সাড়া না পেয়ে খবর দেন। এরপর পঞ্চসায়র থানার ডিউটি অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, ৭৯ বছরের বিজয়া দাস রক্তাক্ত অবস্থায় সিঁড়ির কাছে পড়ে আছেন। মাথা ও মুখে চোটের দাগ ছিল। বাড়ির ভেতরে আরও দেখা যায়, তাঁর বৃদ্ধ স্বামী একটি ঘরের মেঝেতে খাটের পাশে পড়ে আছেন। একই সময়ে বাড়ির পিছনের ফটক খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়।
অচেতন অবস্থায় বিজয়া দেবীকে দ্রুত এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতা তাঁর স্বামীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ছেলে বন্দন দাস স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে বাইরে থাকেন।
ঘটনার পর ফরেনসিক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ, হোমিসাইড টিম ও আলোকচিত্রীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া মেনে মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হিসেবে তদন্ত শুরু হয়েছে। পঞ্চসায়র থানায় এ বিষয়ে জি.ডি. নং–১২৭২ (তারিখ: ২২.০৮.২৫) নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে একইদিনে জলপাইগুড়ি জেলায় ঘটল আরও একটি হাড়হিম করা ঘটনা। স্ত্রীর কলিজা নিয়ে গ্রামে দাপিয়ে বেড়াল স্বামী! ঘটনাটি ঘটেছে, জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ব্যাঙকান্দিতে। মৃতা মহিলার নাম দিপালী রায়(৪৫)। ব্যাঙকান্দির বাসিন্দা রমেশ রায়কে শুক্রবার সকালে একটি থলিতে দেহাংশ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রমেশ রায় থলিতে দেহাংশ নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে বেশ কয়েকজনকে সেই দেহাংশ দেখায়। আর যা দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে যায় অনেকেই। ঘটনায় সকলের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধে। তারপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হলে প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামী রমেশ রায়কে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে ধৃত ব্যক্তি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।