দীর্ঘ টালবাহানার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শেষপর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন এসএসসির চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে। শনিবার রাত ৮টার সময় তালিকা প্রকাশ করেছে। যা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু তালিকা প্রকাশের পরই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
25
তালিকায় নাম
এসএসসির তালিকা প্রকাশের পরই দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের নাম যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে শাসক দলের নেতাদের ঘনিষ্টদের নামও। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যাদের টাকা দিয়ে এঁরা স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন তাদের নামের তালিকা কবে প্রকাশ করা হবে? তবে তালিকা প্রকাশের পরই অনেক চিহ্নিত অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
35
প্রশ্ন আইনজীবীর
এই পরিস্থিতিতে SSCর প্রকাশিত চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। পাশাপাশি তিনি নতুন করে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন এই তালিকার বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। তাঁর দাবি এসএসসি অযোগ্য বা দাগিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ নয়। ২০১৬-র ওই নিয়োগে প্যানেলে নাম না থাকা বা সুপারিশ না করা অনেকেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের নামও যাতে প্রায় প্রকাশ করা হয়, সেই দাবি জানাবেন চাকরিহারাদের একাংশ।
একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে যারা চাকরি পেয়েছেন, তারাও বেআইনি চাকরিপ্রাপক। তিনি আরও বলেছেন, এসএসসির প্যানেলের মেয়াদ থাকে এক বছর। সেই সূত্র ধরেই তৃতীয় কাউন্সেলিং থেকে পুরোটাই বেআইনি। সেক্ষেত্রে আরও নাম দাগির তালিকায় থাকা উচিৎ। তিনি বলেছেন, 'কাদের অতিরিক্ত নিয়োগ করা হল , সেই লিস্টও নেই। ' তাঁর দাবি ১১৬১০ জনের নাম সুপারিশ করেছিল এসএসসি। নিয়োগ করা হয়েছিল ১২৯৬৪ জনকে।
55
সুপ্রিম কোর্টের রায়
স্কুল সার্ভিস কমিশন আগেই সুপ্রিম কোর্টে চিহ্নিত অযোগ্যদের হিসেব দিয়েছিল রাজ্য় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের রায় বলা হয়েছে, ঠিক কতজনকে কী কী অভিযোগে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, ওএমআর জালিয়াতি ও ব়্যাঙ্ক জাম্প মিলিয়ে নবম-দশমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৯৩ জনকে, একাদশ-দ্বাদশে ৮১০ জনকে চিহ্নিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। শনিবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সো মূলত ওএমআর জালিয়াতি ও র্যাঙ্ক জাম্পেপর অভিযোগের ভিত্তিতেই তৈরি। তবে এর বাইরেও আরও অনেক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ।