বৃহস্পতিবার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে শহীদ মিনার চত্বরে পৌঁছন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের বিকেল কাটালেন সেখানেই।
রাত পোহালেই ২১ জুলাই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। শহিদ সমাবেশের প্রাক্কালে ধর্মতলায় ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে শহীদ মিনার চত্বরে পৌঁছন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারের বিকেল কাটালেন সেখানেই। মঞ্চের পাশে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করাও। সঙ্গে দেখা গেল যুব নেতাদেরও। চায়ে চুমুক দিতে দিতেই খোশ গল্প, গানে জমে উঠল মজলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বসেই সুর তুললেন তৃণমূলের যুব নেতারা। গানের কথায় মাঝে মাঝেই ভুল ধরালেন সুপ্রিমো।
বৃহস্পতিবাড় ধর্মতলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশীষ কুমার, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, উদয়ন গুহ, অপরূপা পোদ্দার, সায়নী ঘোষ, শ্রেয়া পাণ্ডে-সহ তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতাদের। গান, গল্পের মাঝেই চলছিল প্রয়োজনীয় আলোচনাও। উল্লেখ্য এদিন ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার মণিপুর ইস্যু নিয়ে সরব হন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আমার হৃদয় কাঁদছে। অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জার কথা। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা প্রথমত দেখানোই উচিত নয়। তবে যা দেখলাম মনে হল এ কোন দেশ। বিজেপি নেতাদের আচরণে মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। এত কিছুর মাঝেও শুধু আমাদের গালাগাল করে যাচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে আগেও মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার টুইটারে কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন,'মণিপুরের যে ভয়ঙ্কর ভিডিও সামনে এসেছে তা যথেষ্ট হৃদয়বিদারক ও বিরক্তিকর। একদল উন্মাদ জনতা দু'জন মহিলার উপর যে পাশবিক অত্যাচার করেছে, তাঁদের যে অত্যাচার ও হিংসার সাক্ষী হতে হয়েছে যে বিষয় নিন্দা জানানোর আমার কোনও ভাষা নেই। এই ধরনের বর্বর কাজ মনুষ্যত্বের পক্ষে বিপদজনক। দুষ্কৃতীদের দ্বারা এই ধরনের অমানবিক কাজকে আমাদের সবার একত্রিত হয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো উচিৎ ও অত্যাচারিতরা যাতে বিচার পান সেই চেষ্টা করা উচিৎ।'