
তদন্ত যত এগোচ্ছে রহস্য় তত যেন বাড়ছে। সামনে আসছে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য। আত্মহত্যা নয়, তিন মহিলাকেই খুন করা হয়। ঘুমন্ত স্ত্রীদের গলা ও হাতের শিরা কাটেন দুই ভাই। সামনে এল এমনই তথ্য। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন দে পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন পরিবারের সকলে। ১৮ ফেব্রুয়ারি তারা দুজন বাড়ির দুই মহিলা রোমি দে ও সুদেষ্ণা দে-র হাতের শিরা ও গলা কেটে খুন করে। নাবালককে তারা হাসপাতালে ভর্তি করে আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, খুনের সময় দুই মহিলা ঘুমের ওষুধের প্রভাব অবচেন ছিলেন। তা না হলে এত সূক্ষ্ম ও নিখুঁতভাবে তাদের গলা কাটা সম্ভব হত না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, একেবারে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় সুদেষ্ণা দে, রোমি দে এবং রোমির মেয়ে প্রিয়ংবদাকে। খুনের পর দুই ভাই ও বড় ভাইয়ের ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
জানা গিয়েছে, একেবারে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় সুদেষ্ণা দে, রোমি দে-কে। গলার নলি ও হাতের দুই শিরা কাটা হয়েছিল। তবে, রোমির মেয়ে প্রিয়ংবদা প্রয়াত হন বিষক্রিয়ায়। তাদের ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ানো হয়েছিল। এই খাবারের কারণেই প্রয়াত হন রোমির মেয়ে প্রিয়ংবদা। তবে, সুদেষ্ণা দে, রোমি দে অবচেতন ছিলেন। আর ঘুমের মধ্যে তাদের গলার নলি ও হাতের দুই শিরা কাটা হয়েছিল।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাজাকে কয়েক কোটি টাকা ঋণ, চারলা বাড়িও বন্ধকে রাখা। এমনকী, ৬টি ব্যাঙ্ক ও কয়েকটি বেসরকারি এজেন্সি থেকে ঋণ নিয়েছিল দুই ভাই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ইএম বাইপাসের একটি দুর্ঘটনাকে ঘিরে। বুধবার কাক ভোরে অভিষিক্তার কাছে মেট্রোর পিলারে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। তিনজন জখম হন। তার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনা। তাদের ট্যাংরার বাড়ি থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার হয়।