West Bengal News: পুলিশ লকআপে শারীরিক হেনস্থা, AIDSO-র নেত্রীদের মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ আদালতের

Published : Apr 22, 2025, 05:25 PM IST
Calcutta High Court

সংক্ষিপ্ত

Kolkata News: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদ। মেদিনীপুর কলেজে আন্দোলনের কারণে, পুলিশ লকআপে অত্যাচারের শিকার হন এসএসআই ও ডিএসও-এর দুই মহিলা কর্মী। সেই ঘটনায় এবার আইজিপি মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ আদালতের।             

Kolkata News: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদ। মেদিনীপুর কলেজে আন্দোলনের কারণে, পুলিশ লকআপে অত্যাচারের শিকার হন এসএসআই ও ডিএসও-এর দুই মহিলা কর্মী। সেই ঘটনায় এবার আইজিপি মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

কী নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court on AIDSO Case):-

জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর লকআপে আইজিপি মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন করতে হবে। সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির আরও নির্দেশ, ঘটনার তদন্তে সবরকম সাহায্য করতে হবে স্বরাষ্ট্র সচিবকে। এই বিষয়ে পুলিশের কাছ কোনও সাহায্য নেওয়া যাবে না। আইপিএস মুরলীধর শর্মাকে এফআইআর দায়ের করতে হবে। অভিযুক্ত উইনার্স টিমের মহিলা কনস্টেবল কুহেলী সাহার বিরুদ্ধে তদন্ত জারি থাকবে। আইজিপি'র রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে যে অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবল মামলাকারীদের মারধর করেছেন। ফৌজদারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের সেশন জাজের মানবাধিকার আদালতে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি শুনানির পর নির্ধারিত হবে বলে এদিন জানিয়েছে আদালত।

জানা গিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির জেরে ছাত্র ধর্মঘটের দিন গত ৭ মার্চ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেদিনীপুর কলেজ। সেখানকার বাম ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ছাত্রীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। কলেজে আন্দোলন করার সময় দুই ছাত্রীকে মেদিনীপুর মহিলা থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, শারীরিক হেনস্থা ও গায়ে মোম ঢেলে অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়, হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এবং কোনও এফআইআর দায়ের না করেই মাঝরাতে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন নিগৃহীতা এসএসআই নেত্রী সুচরিতা দাস, ডিএসও সমর্থক সুশ্রীতা সোরেন।

আরও জানা গিয়েছে, সেই মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আইজি, আইপিএস মুরলীধর শর্মাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা-সহ পুলিশের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে তাঁকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেই জোড়া মামলার রায় দিলেন। বিচারপতি রায় নির্দেশ দেন যে, এই ঘটনার তদন্ত জারি থাকবে। আইজিপি মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে একটি সিট গঠন করতে হবে। সিটে বাকি সদস্য কারা থাকবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন। মুরলীধর শর্মাকে ঘটনায় এফআইআর দায়ের করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র সচিবকে সবরকম সাহায্য করতে হবে। আগামী জুলাই মাসে হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: বাবরি মসজিদ নিয়ে মমতা-হুমায়ুন তরজা থেকে দেশজুড়ে ইন্ডিগো-র বিমান বিপর্যয়, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
Gulshan Colony Fire: SIR আবহের মাঝে এবার গুলশন কলোনিতে আগুন, আতঙ্কে গোটা এলাকা