Kolkata News: কলকাতার চারু মার্কেটের আবাসনে পরিচারক খুনে প্রকাশ্যে এলো আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পার্ক স্ট্রিটের নামজাদা হোটেলের প্রাক্তন ওয়েটার তথা অভিযুক্ত সাদ্দাম আলম আসলে সমকামী। সমকামীতা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে ভাগের টাকা নিয়ে বচসা বাধে বলে অভিযোগ।
Kolkata News: কলকাতার চারু মার্কেটের আবাসনে পরিচারক খুনে প্রকাশ্যে এলো আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পার্ক স্ট্রিটের নামজাদা হোটেলের প্রাক্তন ওয়েটার তথা অভিযুক্ত সাদ্দাম আলম আসলে সমকামী। সমকামিতা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে ভাগের টাকা নিয়ে বচসা হওয়ায় আবাসনের পরিচারক অবিনাশ বাউরিকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত সাদ্দাম আলম।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সাদ্দাম আলমের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সে অতিরিক্ত রোজগারের লোভে সমকামিতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলো। সপ্তাহ শেষশে বাড়তি টাকা রোজগারের জন্য সমকামিতা করত সাদ্দাম আলম। এমনকি অভিযুক্ত যে সমকামী তা ঘুণাক্ষরেও জানতেন না সাদ্দামে স্ত্রী। জানা গিয়েছে, ধৃত সাদ্দামকে জেরায় এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।
এদিকে গত শনিবার চারু মার্কেটের একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় ওই আবাসনেরই পরিচারক অবিনাশ বাউরির দেহ। জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। চারু মার্কেট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত সাদ্দামের নাগাল পেতে খোঁজ শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর বয়ানেও উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার অর্থাৎ ঘটনার দিন সাদ্দামকে সঙ্গে নিয়ে আবাসনে ঢোকে অবিনাশ। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সাদ্দাম একাই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ হয় ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর। তিনি পুলিশকে খবর দিলে ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় অবিনাশের রক্তাক্ত দেহ।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ওই নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকেই সাদ্দামের চেহারার বর্ণনা পান লালবাজারের কর্তারা। তারপরই তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকরপ তথ্য। জানা গিয়েছে, সমকামিতার জন্য সাদ্দামের ডেটিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট থাকলেও অবিনাশের কোনও অ্যাকাউন্ট ছিলো না। অন্য এক বন্ধু মারফত অবিনাশ ডেটিং অ্যাপে নিজের চাহিদার কথা জানান। সেইমত দর কষাকষির পর সাদ্দামের সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকার রফা হয় অবিনাশের। এরপরই ফ্ল্যাটের মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগে সাদ্দামকে ফ্ল্যাটে ডেকে নেয় অবিনাশ। দুজনের চাহিদা মেটানোর পরই শুরু হয় ঝগড়ার সূত্রপাত।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রথমেই পাঁচ হাজার টাকা দিতে রাজি ছিল না অবিনাশ। সে সাদ্দামকে গাড়িভাড়া বাবদ কিছু টাকা দিয়ে বলে বাকি টাকা পরে মিটিয়ে দেবে। অভিযোগ, এতেই নাকি বেঁকে বসে অভিযুক্ত সাদ্দাম। রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে অবিনাশকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে সে। তাতেই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান অবিনাশ।
জানা গিয়েছে, খুনের পর সাদ্দাম পুরনো সিম ফেলে দিয়ে নতুন সিম ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। পুরনো ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের মল্লিকপাড়া থেকে অভিযুক্ত সাদ্দাম আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার আরও রহস্যের কিনারা করতে চাইছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।