আরজি করের পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসক তরুণী ধর্ষণ খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের। শিয়ালদহ কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সঞ্জয়। চাইছেন মামলা থেকে বেকসুর খালাস।
27
কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন অভিযুক্ত সিভিকের
গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তারপর দীর্ঘ একবছরে গড়িয়েছে অনেক জল। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। তারপর থেকেই জেলেই রয়েছেন সঞ্জয় রায়। কিন্তু এবার মুক্তির দাবিতে করলেন আবেদন।
২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতাল আরজি করে রাতের অন্ধকারে পোস্ট গ্রাজুয়েট এক তরুণী ডাক্তারকে নৃশংস অত্যাচার এবং পরে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় প্রথম গ্রেফতার হন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়।
আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বেকসুর খালাসের আবেদন বুধবার গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের মামলার সঙ্গে সঞ্জয়ের এই আবেদনের শুনানি হবে বলে সূত্র মারফত খবরে জানা গিয়েছে।
57
মামলার পরবর্তী শুনানি কবে?
জানা গিয়েছে, সঞ্জয় রায়ের এই বেকসুর খালাসের আবেদন মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। ওই দিনই জানা যাবে আদেও বেকসুর খালাস, নাকি গারদের অন্ধকারে কাটবে সঞ্জয়ের বাকি জীবন!
67
সঞ্জয়ের মামলা গ্রহণ বিচারপতির
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়। মামলা গ্রহণ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। শুধু তাই নয়, পরিবার এই মামলায় আদালতকে সহযোগিতা করতে পারবে বলেও এদিন স্পষ্ট করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
77
সঞ্জয়ের আইনজীবীর সওয়াল
এই মামলার আবেদনের পরই আদালতের সঞ্জয়ের আইনজীবী সওয়াল করেন যে, আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের বেকসুর খালাস পাওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এমনকি শিয়ালদহ কোর্টে সিবিআই যখন আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে জোরালো সওয়াল করেছিল তখনও এই আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।