RG Kar-এ কীভাবে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছে সন্দীপ ও তার সাগরেদরা? আদালতে স্পষ্ট করল CBI
আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় রীতিমত বিপাকে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ ও তার সাগরেদদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতেই বড় দাবি করে সিবিআই।
Saborni Mitra | Published : Oct 22, 2024 9:34 AM IST
আরজি কর মামলা
আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে মঙ্গলবার পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। সঙ্গে পেশ করা হয় হয় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বাকিদেরও।
আর্থিক দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত
আর জি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে প্রথম দফায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ, তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই ঠিকাদার বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা, নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলি। ধৃতদের জেরা করে সন্দীপের ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই
জামিনের বিরোধিতা
এদিন সিবিআই আলিপুর আদালতে ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করেন। সন্দীপ ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে রীতিমত কড়া সওয়াল করে।
সরকারের ক্ষতি করে পকেট ভরা
এদিন সিবিআই আইনজীবী আদালতে দাবি করে চিকিৎসক আশিস পাণ্ডে সরকারের ক্ষতি করে নিজের পকেট ভরিয়েছে। আর এই কাজে তাকে মদত দিয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও বাকিরা।
নিশানায় সন্দীপ
সিবিআইয়ের দাবি, ষড়যন্ত্র করে সন্দীপ, আশিসের মতো চিকিৎসক ও আর জি করের কর্তারা হাউস স্টাফ নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা হস্তগত করেন।
সিবিাআই-এর দাবি
এদিন সিবিআই সন্দীপ, আশিস-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে জামান। তারা একই সঙ্গে ১৪ দিনের জেল হেফাজতেরও আবেদন করে।
আদালতের নির্দেশ
আলিপুর আদালত এদিন সন্দীপ ঘোষ -সহ বাকিদের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
সিবিআই-এর দাবি
তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত চিকিৎসক আশিস পাণ্ডে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেন। এর ফলে সরকারের ক্ষতি হয়েছে। আর্থিক লাভ হয়েছে আশিস পাণ্ডের।
প্রভাবশালী তত্ত্ব
সিবিআই আদালতে দাবি করে অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রভাবশালী। তই জামিন পেলে তদন্ত প্রাভাবিত করতে পারে। নথিও নষ্ট করে দিতে পারেন। সেই কারণে জেল হেফাজতের দাবি করা হচ্ছে।
সন্দীপ 'নাটের গুরু'
আদালতে সিবিআই দাবি তদন্ত চলাকালীন নথি পরীক্ষা ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে যে, সন্দীপ ঘোষের মদতে তাঁর ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক আশিস পাণ্ডে ও অন্যরা কীভাবে টাকা সরিয়েছে।
কোথায় গলদ
হাউস স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। একইভাবে আর জি করে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও টাকা তোলা হয়। এই টাকা তোলার ক্ষেত্রে সন্দীপ ঘোষের মদতে একটি চক্র কাজ করে।
টাকার অঙ্ক
সিবিই দাবি করেছে ২০ কোটিরও বেশি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। কোভিড তহবিলের টাকায় চিকিৎসা সামগ্রী না কিনে সন্দীপ বিলাসবহুল আসবাব কেনেন বলেও দাবি করেছে সিবিআই। দামেতেও গরমিল ধরা পড়েছে বলে দাবি।