বৈঠকে তিন বিষয় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মতানৈক্য মমতার, জেনে নিন কোন বিষয় আপত্তি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ১২৮ মিনিটের বৈঠকে তিনটি বিষয় নিয়ে মতানৈক্য হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, টাস্ক ফোর্স গঠন-সহ আরও একটি বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
সোমবার নবান্নের সভাঘরে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এক পক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অপর পক্ষ ছিল জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে। যে দাবিগুলোর মধ্যে ছিল নির্যাতিতার ন্যায় বিচার থেকে কলেজে থ্রেট কালচার বন্ধ করা।
এদিন ১২৮ মিনিট বৈঠক হয় জুনিয়র ডাক্তার ও মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেই বৈঠকে তিনটি বিষয় নিয়ে হল মতানৈক্য।
মূল যে তিন বিষয় নিয়ে মতানৈক্য হয়েছিল, তা হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৭ জনের সাসপেনশন। দ্বিতীয়, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। তৃতীয় প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৭ জনের সাসপেনশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ ন্যায্য হলে ঠিক আছে, কিন্তু আমরা কারও পড়াশোনা শেষ করতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার থেকে সরকারকে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার বলে একটা জিনিস আছে। আপনি মানুন আর না মানুন। সিস্টেম বলে একটা জিনিস আছে। এখন থেকে সিস্টেমটা বুঝুন। আপনারা নিজেরা তদন্ত করে নিলেন… যাকে পছন্দ হল হল.. যাকে হল না তো হল না।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ নিয়ে মতানৈক্য হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম তোমাদের কথা আগে শুনে পরে আমার বক্তব্য রাখব।…
…কিন্তু, একটা মানুষকে অভিযুক্ত প্রমাণ করার আগে তাঁকে অভিযুক্ত বলা যায় না। আমি একদমই লিগ্যাল পয়েন্ট থেকে বলছি। অভিযোগ করতেই পারো। কিন্তু, আদৌ সে অভিযুক্ত কি না সেটা কিন্তু কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন নিয়ে মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চয়ই এটা কনসিডার করতে পারি। আমার মনে হয় না, এটি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে পরিস্থিত স্বাভাবিক করতে দিতে। তারপর আমরা তাঁদের সাজেশন চাইব। অধ্যক্ষ সেটা রেকমেন্ড করে আমাদের পাঠাবে।’