কোনওরকম পক্ষপাতিত্ব করা চলবে না। আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি। সরকারকে না জানিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কীভাবে তৈরি করা হল এবং কীভাবে সাসপেন্ড করা হল তাদের, সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মমতা বলেন, রোগী কল্যাণ সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি থাকবে। সেইসঙ্গে, তিনি যুক্ত করেন, ‘তোমাদেরও দায়বদ্ধতা আছে, বোনেদের দেখে রাখার। বোনেদের দায়িত্ব রয়েছে ভাইদের দেখে রাখার।’’
অপরদিকে, সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি। বললেন, কোর্টে ওই মহিলা আইনজীবী দাবি করেছেন যে, রাজ্যের হাসাপাতালে তুলোও পাওয়া যায় না। এরপরেই তিনি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের প্রশ্ন করেন, ‘‘এটা কি সত্যি? এতে তো রাজ্যের মুখ পুড়ল।’’
মমতার অভিযোগ, “রঙ কিংবা পরিচয় জানার দরকার নেই। যদিও আমি জানি সব। ৫৬৩ জন আন্দোলন চলার সময় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করে টাকা নিয়েছেন।’’ তাঁর কথায়, জুনিয়র ডাক্তারদের স্ট্রাইকের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জনগণের টাকা পুরো অন্য জায়গায় চলে গেছে। তিনি বলছেন, "তোমরা সাধ্যমতো অনশন করেছ, ভাল করেছ। আমি ২৬ দিন টানা অনশন করেছি। কেউ আসেনি। আমি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছি। রোজ খবর নিয়েছি তোমাদের। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রিপোর্ট নিই আমি।’’