RG Kar-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের ১০ বছরের ভাগ্নির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাড়ির আলমারি থেকে। প্রতিবেশীরাদের দাবি খুন করা হয়েছে। অভিযোগের তীর বাবা ও সৎমায়ের দিকে। পুলিশের সামনে বাবা-মাকে গণপ্রহার প্রতিবেশীদের। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়।
কালীপুজোর রাতে আলিপুরের এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য ক্রমশই দানা বাঁধছে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ বাড়ির মধ্যে আলমালিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। মৃত ছাত্রী আরজি কর কাণ্ডে সাহাপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বোনের মেয়ে বলেও দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল আলিপুর থানা এলাকার বিদ্যাসাগর কলোনি।
25
কালীপুজোর রাতের ঘটনা
সোমবার রাতে বিদ্যাসাগর কলোনিতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় বছর দশেকের মেয়েটির নিথর দেহ। নিহতের মা দাবি করেছিলেন তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে বাড়িতে মেয়েটি একাই ছিল। ফিরে এসে মেয়েকে কোথাও দেখতে পানননি। খোঁজাখুঁজি করেন। তারপরই আলমারি থেকে মেয়ের মৃতদেহ দেখেন। পুলিশে খবর দিলে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।
35
সঞ্জয়ের ভাগ্নি
স্থানীয়রা জানিয়েছেন ১০ বছরের মেয়েটি আরজি কর কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি। সঞ্জয়ের এক বোনকে প্রথমে বিয়ে করেছিল বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা। সেই বোনের বিয়ে হলে সঞ্জয়ের অন্যবোনকে বিয়ে করে। সঞ্জয়ের মৃত বোনের মেয়েরই দেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছে ১০ বছরের মেয়েটির ওপর দিনের পর দিন ধরে সৎমা (মাসি) ও বাবা অত্যাচার করত। তারাই মেয়েটিকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। মৃত বালিকার ঠাকুমাও জানিয়েছেন ছেলে আর বৌমা মিলে তাঁর ছোট্ট নাতনির ওপর অত্যাচার করত। তিনিও খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দেননি। তিনিও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ছেলে আর বৌমার দিকে।
55
বাড়িতে পুলিশ
মঙ্গলবার সকালে বিদ্যাসাগর কলোনির বাড়িতে তদন্তের জন্য যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাবা ও সৎমাকে। সেই সময়ই বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। তারা পুলিশের সামনেই বাবা ও মাকে মারধর করে। স্থানীয়দের দাবি মেয়েটির ওপর নির্যাতন করা হয়। বাবা ও সৎমা নিজেদের স্বার্থে মেয়েটিকে খুন করেছে। যদিও দম্পতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পরিবারকে পাড়াছাড়া করতেও উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয়রা।