সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রাজ্যের অনুমোদন, হাইকোর্টে যাওয়ায় সিবিআইকে শোকজ করল নিম্ন আদালত

Published : Jan 30, 2025, 07:00 PM IST
sandip

সংক্ষিপ্ত

আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মানলায় গত ২৯ নভেম্বর আলিপুর আদালতে চাার্জশিট জমা করেছিল সিবিআই। তাতে নাম ছিল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। 

আরজি কর দুর্নীতি মমালায় (RG Kar Financial Corruption Case) সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে রাজ্যের অনুমোদন পেয়েছে সিবিআই (CBI)। কিন্তু ট্রায়াল কোর্টে সে কথা জানান হয়নি। যদিও আগেই সেই কথা কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল সিবিআই। আর সিবিআই -এর এই কাজেই ক্ষুব্ধ আলিপুর কোর্ট। শেষে সিবিআই-কে শো-কজ করা হয়েছে। তার আগে সিবিআই-এর আইনজীবীকেও রীতিমত ধমক দিয়েছে আলিপুর আদালত। আদালতের বক্তব্য, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অনুমোদনের জন্য চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। তাই এই অনুোদনের কথা আগেই ট্রায়াল কোর্টে জানান উচিৎ ছিল।

আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মানলায় গত ২৯ নভেম্বর আলিপুর আদালতে চাার্জশিট জমা করেছিল সিবিআই। তাতে নাম ছিল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। তাঁর আমলে সবথেকেই দুর্নীতি হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। কিন্তু সন্দীপ ঘোষ রাজ্য সরকারি কর্মী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জগঠনের জন্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। সেই অনোমদন এত দিন আটকে ছিল। সম্প্রতি রাজ্যের অনুমোদন মিলেছে। বুধবার হাইকোর্টে সেকথা জানান সিবিআই। আদালত সাত দিনের মধ্যেই সন্দীপের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। সেখানেই আদালত সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে।

রাজ্যের অনুমোদন পাওয়ার পরেও কেন আলিপুর আদালতে প্রথমে তা জানান হল না? সিবিআইকে সেই প্রশ্নই করেন বিচারক। সিবিআই জানিয়েছে ২৭ জানুয়ারি সেই অনুমোদন পাওয়া হিয়েছে। পে তার খতিয়ে দেখেছিল। সেই কারণেই আলিপুর আদালতে তা জানান হয়নি। বিচারকের মন্তব্য,' ট্রায়াল কোর্টকে বাইপাস করে হাইকোর্টে আগে কেন জানান হল? আমি শোকজ করব, যা বলার লিখিতভাবে জানাবেন।'

অন্যতম অভিযুক্ত অফিসার আফসার আলির আইনজীবী সোহিনী অধিকারী বলেন, 'চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে নভেম্বরে। রাজ্যের অনুমোদন পাওয়ার পরেও ট্রায়াল কোর্টে কেন জানাল না সিবিআই? এটা তো হওয়ার কথা নয়। তাদের শোকজ করা হয়েছে লিখিতভাবে এর জবাব দিতে হবে।'

আরজি কর মহিলা চিকিশকের ধর্ষণ খুনের মামলার পরই প্রকাশ্যে আসে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। সেই মামলায় প্রথমে সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরে আরজি করের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রমান দাখিল করতে না পারায় জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল সন্দীপকে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

WB Weather Update: বঙ্গে শীতের ইনিংস শুরু, সপ্তাহ শেষে পারদ পতনের ইঙ্গিত? এবার কী শীতে কাঁপবে বঙ্গবাসী
'ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাবোই, এটা বাবরের দেশ নয়', কলকাতায় এসে হুঙ্কার ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী