আজ কি জট কাটবে? স্টেনোগ্রাফার নিয়েই মমতার সঙ্গে বৈঠকের জন্য কালীঘাট গেল জুনিয়র ডাক্তাররা

জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচ দফা দাবিতেই আলোচনা হবে। তার বাইরে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না।

আরজি কর কাণ্ডের সুষ্টু তদন্ত, প্রমাণ লোপাটে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে সাজা, হাসপাতালগুলিতে ভয় মুক্ত পরিষেব তৈরি, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, বিনীত গোয়েল-সহ তিন স্বাস্থ্যকর্তা ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপের পদত্যাগ।

কালীঘাট রওনা দেওয়ার আগে জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা বলেন তাঁরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। তারা তাদের দাবি থেকে পিছিয়ে আসবেন না। কালীঘাটের বৈঠকের পরই স্বাস্থ্য ভবনের ধর্নামঞ্চে এসে বৈঠক করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানুয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বৈঠকে তাদের সঙ্গে থাকবে স্টেনোগ্রাফার। প্রত্যেকটি জিনিস লেখা হবে। সই হবে। সেটা নিয়েই তারা কালীঘাট থেকেই ফিরবে। যুদ্ধ চলছে সেখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্ন নেই।

জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকের লাইভস্ট্রিমিং-এর দাবি প্রথমে জানিয়েছিল। পরবর্তী সময় তারা বৈঠকের ভিডিওর দাবি জানায়। কিছুটা পিছিয়ে তারা জানিয়েছে আগের দুটি যদি না হয় তাহলে কার্যবিবরণী লেখা হবে। সেই কারণে তারা স্টেনোগ্রাফার নিয়ে যাবে বৈঠকে।

বৈঠকের খুঁটিনাটি লেখা হবে। সেখানে দুই পক্ষের সই থাকবে। সেই কারণেই সব মিলিয়ে ৩২ জন কালীঘাটে রওনা দিচ্ছে।

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবন থেকে বাসে করে কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

স্বাস্থ্য ভবন থেকে কালীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে ছিল 'জাস্টিস ফর আরজি কর' 'ইউ ওয়ান্ট জাস্টিস' এই জাতীয় স্লোগান দিতে দিতেই রওনা দেয়।

স্বাস্থ্য ভবন জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানের আজ ৭ দিন। আরজি করের নিহত চিকিৎসকের বিচারের চেয়ে তাদের প্রতিবাদ ৩৭ দিনে পড়েছে।

কালীঘাটে যাওয়ার আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্য সরকারের 'ঔদ্ধত্য' বার্তার জাবাবও দিয়ে যান। তাঁরা বলেন, ' ওঁরা বলছেন, আমাদের ঔদ্ধত্য রয়েছে। বৈঠক করতে চাই না। এটা ভুল। আমরা দেখতে চাই, ওঁরা কতটা কথা বলতে চান। আমাদের ন্যায় বিচারের লড়াই। তাঁরা ন্যায় বিচারের লড়াইকে কতটা নিয়ে যেতে পারে, দেখছি।'

শনিবার কালীঘাটে বৈঠক হয়নি এর আগে শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের কালীঘাটে বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে দীর্ঘ কথাবার্তার পরেও বৈঠক হয়নি। তারপর আজ সকালেই বৈঠকে ডেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মেল করা হয়।

আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরাও জরুরি। তাই এদিনের বৈঠকের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে।