আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহগুলির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হত এবং ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হত। সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরও কয়েকজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তদন্তে মর্গে সঞ্জয়ের অবাধ গতিবিধি এবং মৃতদেহের হাড়গোড় বিক্রির তথ্য।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহগুলির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হত। সেই ভিডিও রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়া হত। সিবিআই তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় মর্গে মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত বলে জানা গিয়েছে। তবে সঞ্জয় একা নয়, তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। তারা সবাই মিলে এই কুকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সঞ্জয়ের মোবাইল ফোনে বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। এই ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, সে এবং আরও কয়েকজন মর্গে মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। এভাবে পর্ন ভিডিও তৈরি করে বিদেশে চড়া দামে বিক্রি করা হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। এ বিষয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মর্গে সঞ্জয়ের অবাধ গতিবিধি!
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাত আটটার মধ্যে মর্গ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধের পর সাধারণ ময়নাতদন্ত হয় না। কিন্তু সেই মর্গেই সঞ্জয়ের অবাধ যাতায়াত ছিল। সে রাতে অনায়াসে মর্গে প্রবেশ করত। তার সঙ্গে দলবল থাকত। তারাই পর্ন ভিডিও তৈরি করত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, পর্নোগ্রাফির প্রতি সঞ্জয়ের আসক্তি রয়েছে। সে পর্নোগ্রাফি দেখার পাশাপাশি নিজেও এই ধরনের ভিডিও তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা!
সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃতদেহ থেকে হাড়গোড় বের করে বিক্রি করে দেওয়া হত। গত ৩ বছরে এই হাসপাতাল থেকে ৬০-৭০টি মৃতদেহ গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দীপের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
নির্যাতিতার বাবা-মাকে নিয়ে আরজি করে CBI, কোন তথ্য অনুসন্ধান করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?
সঞ্জয়কে জেরা করতে গিয়ে বমি করার অবস্থা তদন্তকারীদের, এক পোশাকেই কাটল এক মাস