জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে সিসি ক্যামেরা থেকে সময়ের হিসেব লেখা বোর্ড, ছবিতে ধর্মতলার ধর্না মঞ্চ
ধর্মতলার মেট্রো চ্যালেনে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের পর কেটে গেল প্রায় ১৪ ঘণ্টা। এখনও সরকারের পক্ষ থেকে সদর্থক কিছু জানান হয়নি। পাল্টা নানা ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে ভিড় বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
Saborni Mitra | Published : Oct 6, 2024 6:49 AM IST / Updated: Oct 06 2024, 12:20 PM IST
১৪ ঘণ্টা অনশন
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার পরই ধর্মতলার মেট্রো চ্যালেনে ৬ জুনিয়র ডাক্তার অনশন শুরু করেছে। ১৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। কিন্তু এখনও সরকার সদর্থক কিছু জানানি।
ধর্নায় বাধা
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ পুলিশ তাদের ধর্না অবস্থানে বাধা দিচ্ছে। মঞ্চ বাঁধতে দেওয়া হচ্ছে না। বায়ো টয়লেট বসানোর আর্জিও নাকচ করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
অনশনের সময়ের হিসেব
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে একটি বোর্ড রাখা হয়েছে। সেখানেই অনশনের সময়ের হিসেব রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পার হয়েছে ১৪ ঘণ্টা। পাশাপাশি মঞ্চে লাগান রয়েছে সিসিটিভি। অনশনকারীরা যে খাবার মুখে তুলবেন না তার প্রমাণ হিসেবেই লাগান হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
ঘড়িও রয়েছে
শুক্রবারই জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের মিছিলের পর সরকারকে ঘড়ি ধরে সময় বেঁধে দিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টা পার না হলে অনশনেরই হুমকি দিয়েছিল। সেইমতই জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন শুরু করেছে।
ধর্না মঞ্চে বাধা
জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চ তৈরিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ। ডেকরেটর্সকে বাঁশ বহনকারী টেম্পো নিয়ে আসতে দেয়নি।
পাশে সাধারণ মানুষ
লালবাজার, স্বাস্থ্য ভবনের পর ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলেও জুনিয়র ডাক্তাররা পাশে পেয়েছেন সাধারণ মানুষকে। বিশেষত মহিলা এগিয়ে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের সাহায্যে। স্থানীয় মানুষ ছাতা এগিয়ে দিয়ে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে আন্দোলনকারীদের।
অশনকারীদের শারীরিক অবস্থা
অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। নিজেরাই জানালেন, তাঁরা ভাল আছেন। তবে বায়ো টয়লেট বসাতে না দেওয়ায় কিছু দূরের সাধারণ শৌচাগার তাঁদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্ণব, অনুষ্টুপ, তনয়ারা।
পাশে সিনিয়র ডাক্তাররা
জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনেও তাঁরা পাশে পেয়েছেন সিনিয়রদের। সিনিয়র ডাক্তাররা শনিবারের পর রবিবারও তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ , পুলিশ তাদের মঞ্চে বায়োটয়লেট ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। যদিও তারা পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে ইমেল করেছিল। কিন্তু আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্ত তাদের ওপর মহল নেবে।
কাজে ফিরলেও খাবারে না
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তারা কর্মবিরতি তুলে নিয়েছে। কাজে ফিরছে। কিন্তু খাবার খাবেন না। তাদের দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত খাবার খাবে না বলেও জানিয়েছে।
নিরাপত্তার দাবি
জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার দাবি জানিয়েছে। এই দাবিগুলি সরকার মানলে তবেই তারা কাজে যোগ দেবে।
আরজি করের নির্যাতিতার বিচার
জুনিয়র ডাক্তাররা আরজি করের নির্যাতিতার বিচারেরও দাবি জানিয়েছে। বলেছে সিবিআই তদন্তের ওপর তাদের সম্পূর্ণ আস্থা নেই।