'বৈঠক না করো চা অন্তত খেয়ে যাও!' জট কাটাতে বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা মমতার
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যেই তাদের নিজের বাড়িতে বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংএর দাবি জানান, যা নিয়ে তৈরি হয় অ impasse।
জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরাতে নিজের বাড়িতেই বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেইমত তারা সেখানে পৌঁছে ছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিংএর দাবি জানাতে থাকে।
বৃষ্টিতে কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তাররা
মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ছে। রাতদুপুরে কাকভেজা হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তররা। তাদের দাবি পাঁচ দফা। আর গোটা বৈঠকের ভিডিওগ্রাফি।
সঙ্গে ভিডিওগ্রাফার
জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের সঙ্গে ভিডিওগ্রাফারও নিয়ে গিয়েছিল। তাকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রশাসন ভিডিওগ্রাফি কলেও তাদের সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছে।
কিন্তু অনড় প্রশাসন
জুনিয়ার ডাক্তাররা যেমন অনড় রয়েছে। তেমনই অনড় রয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি নিরাপত্তা জোনে পড়ে। তাই ভিডিওগ্রাফি সম্ভব নয়।
পরিস্থিতি সামলাতে বেরিয়ে আসেন মমতা
পরিস্থিতি সামলাতে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের ঘরে যেতে অনুরোধ করেন।
চা পানের অনুরোধ
মমতা বলেন, বৈঠক না করে অন্তত এককাপ চা খেয়ে যাও। ভিজো না। তোমাদের শরীর খারাপ হলে আমার খারাপ লাগবে। আমরাও কেউ ভিডিও রেকর্ডিং করব না।
৪০ জনের ব্যবস্থা
মমতা আরও বলেন, একজন মানুষের বাড়িতে কী ৪০ জনের জায়গা হয়! আমি তাও ব্যবস্থা করেছি।
'আমাকে অসম্মান করছে'
মমতা জানালেন, আন্দোলনকারীরা যে চিঠি দিয়েছিল তাতে সরাসরি সম্প্রচারের কথা ছিল না। মমতা আরও বলেন,' যদি নাই আসো তাহলে চিঠি দিলে কেন? আমাতে অসম্মান করছ। আমি আগেও তিন দিন অপেক্ষা করেছি। রাজনীতি ভুলে যাও। মানুষের স্বার্থে এসো কথা বলি।'
কোর্টের অনুমতি
মমতা আরও বলেন, 'সব দাবি মানা সম্ভব নয়। কোর্টে অনমুতি নিয়ে ভিডিও দেওয়া হবে। আমার ওপর ভরসা রাখ। আমি মিসলিড করব না।'
কথা বলছেন দুই আমলা
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছেন দুই আমলার। কথা বলেন, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।